অর্থ আত্মসাতের মামলার অনুসন্ধানে তৃতীয় দিনের মতো রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
বুধবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১১টার পর পর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির কার্যালয়ে দুদক উপপরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
দুদকে সাহেদের সাতদিনের রিমান্ড শুরু হয় সোমবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১টায়।
ওই দিন কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাহেদকে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এনে প্রথম দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়৷ এর পর মঙ্গলবার (১৮ আটগস্ট) দ্বিতীয় দিনের রিমান্ডে তাকে দুদক কার্যালয়ে আনার পথে বুকে ব্যথা বোধ করলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সাহেদ অসুস্থতার নাটক করছেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ হাসপাতালে তিনি সুস্থ মানুষের মতোই তিনি বসেছিলেন। কিন্তু দরজার কাচের ভেতর দিয়ে বাইরে টিভি ক্যামেরা দেখে তিনি দু’বার উঁকি মেরে দ্রুত শুয়ে পড়েন। অবশ্য পরে তাকে হাসপাতাল থেকে দুদকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) গুলশান করপোরেট শাখার দুই কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের মামলায় সাহেদকে এ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, সার্টিফিকেট দেওয়া ও রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের দুটি হাসপাতালে অভিযান চালান র্যারবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে র্যা্পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এরপর গত ১৫ জুলাই ভোরে র্যােবের বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদী তীরের সীমান্ত এলাকা থেকে শাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন