জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আজ প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন নিতে ভয় পাচ্ছে কেনো? কারণ হলো, উনার প্রধান পরামর্শদাতা হচ্ছে ভারতের ‘র’ এজেন্ট। এটা আমার কথা না। এটি ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর অন্যতম একজন শশাঙ্ক ভট্টাচার্যের কথা।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের দেয়া উপহারের টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ওখানে নরেন্দ্র মোদি নেননি, এখানে আমার প্রধানমন্ত্রীও নিতে রাজি হলেন না। ব্যাপারটা কী, এটিই সন্দেহ।
তিনি বলেন, ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ১৯৬১ সাল থেকে। শশাঙ্ক ভট্টাচার্য ১৯৬১ সালে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর লেখা চিঠি নেহরুর কাছে দিয়েছিলেন।
ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর ‘কথা না শোনায়’ ১৯৭৫ সালের ঘটনার সাথে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর একটা যোগসূত্র আছে দাবি করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, এখন এই গোয়েন্দা বাহিনী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ওপর ভর করেছে। তা না হলে এতো সহজ একটি কাজ (টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করা), সেই কাজটি প্রধানমন্ত্রী করছেন না কেনো? অর্থাৎ টিকাটা তিনি নিচ্ছেন না কেনো? তাহলে ভারতের চক্রান্তটা কোথায়, তা বোঝার দরকার আছে।
তিনি বলেন, করোনার ভ্যাকসিন আমাদের অধিকার। প্রতিটি জনগণের এই ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আজকেও যদি পত্রিকা দেখেন, করোনার কারণে দেশে দারিদ্র্যতা বেড়েছে। তাই দেশের জনগণ যাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে পারেন সেজন্য গরিবদের ভ্যাকসিন দেয়া দরকার। কিন্তু সরকার ভালো কথা শুনবে না।
দেশের সব মানুষকে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের বিষয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি বলি, আমার নাম যদি আসে আমি টিকা নেবো। তো আপনারাও টিকা নেবেন, এটা আমাদের অধিকার। আজকে আমাদেরকে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এটা কোনো ব্যক্তিবিশেষ দু-চারজনকে দেয়া তা না, আমাদের সবাইকে টিকা দিতে হবে।
‘দুর্নীতি আর অপচয়’ এই সরকারের অপর নাম বলে মন্তব্য করে প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি কার্যকলাপে সরকারের দুর্নীতি দৃশ্যমান বলেও দাবি করেন তিনি।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন