-মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা) প্রতিনিধিঃমার্কিন সাংবাদিক ক্রেইগ উঙ্গার তার লেখা নতুন বই ‘ইন আমেরিকান কামপ্রোম্যাট: হাউ দ্য কেজিবি কাল্টিভেটেড ডোনাল্ড ট্রাম্প, অ্যান্ড রিলেটেড টেলস অব সেক্স, গ্রিড, পাওয়ার, অ্যান্ড ট্রেচরি’তে এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, বিশ্বের গর্জিয়াস যুবতীদের প্রতি যেন নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ট্রাম্প। বিমানে এসব যুবতী যেন ছিলেন ট্রাম্পের দখলে। বিশেষ করে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হতো ট্রাম্পের নয়নাভিরাম বাসভবনে।
জেফ্রে এপস্টেইনের ‘ব্লাক বুকে’ যেসব ফোন নম্বর রয়েছে তার মধ্যে ট্রাম্পের নামে রয়েছে ১৬টি ফোন নম্বর। ক্রেইগ উঙ্গার লিখেছেন, রাশিয়ান যুবতী সরবরাহকারী দালালদের ওপর নির্ভর করতেন এপস্টেইন। তিনিই ট্রাম্পকে অনেক যুবতী সরবরাহ দিয়েছেন। এসব যুবতীর ওপর নির্যাতন করেছেন ট্রাম্প। এই একই চক্রের মধুচন্দ্রিমায় এসব যুবতীকে সরবরাহ দিয়েছেন পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পুতিনের কাছের লোকেরা। বেশ কিছু যুবতী আছেন, তাদেরকে ভালভাবে চিনতেন ট্রাম্প এবং এপস্টেইন দু’জনেই। এর মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার সাবেক একজন মডেল ও সুন্দরী প্রতিযোগিতার প্রতিযোগী- আনা মালোভা। এ ছাড়া আরো একজন সুন্দরী ছিলেন। তিনি হলেন সভেতলানা পোজিদায়েভা। এই দ্বিতীয় জনের সঙ্গে পুতিনের শাসকগোষ্ঠীর সম্পর্ক আছে বলে দাবি করেছেন সাংবাদিক ক্রেইগ। সাংবাদিক ক্রেইগ উঙ্গার বিশ্বাস করেন, কেজিবির পরবর্তী রাশিয়ান সংগঠন ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস অব দ্য রাশিয়ান ফেডারেশন (এফএসবি) বেশ কিছু কমপ্রোম্যাট বা ‘ব্লাকমেইল ম্যাটেরিয়াল’ পেয়েছিল অনেক ভিডিও ও ছবি থেকে। এপস্টেইন তার বিখ্যাত বন্ধুদের সঙ্গে যুবতীদের এসব ভিডিও ও ছবি রেকর্ড করে রেখেছিলেন। ক্রেইগ উঙ্গার মনে করেন ওইসব কমপ্রোম্যাটে বিশেষ করে ট্রাম্পের বিব্রতকর কিছু ছবি থাকতে পারে। এক পর্যায়ে সম্পত্তি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ সময় দু’জন যাবতীর ছবি লোকজনকে দেখিয়ে আনন্দ পেতে থাকেন এপস্টেইন। তাতে দেখা যায়, এপস্টেইনের পার্টিতে যোগ দেয়া ট্রাম্পের ট্রাউজারে যুবতীর রক্তমাখা দাগ। আরেকটি ছবিতে টপলেস বা বুকখোলা যুবতীদের সঙ্গে ট্রাম্পের ছবি। তবে সাংবাদিক ক্রেইগ উঙ্গারের বইয়ের এসব তথ্যের বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন