জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
সিলেটের দুই পৌরসভায় নৌকার প্রার্থী জিততে না পারলেও জিতেছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) জেলার সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ এবং প্রবাসী অধ্যুষিত গোলাপগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলে। পরে গণনা শেষে রাতে ফল ঘোষণা করা হয়।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আহাদ। আর গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল।
এ দু’জনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছিলেন। এ কারণে তাদের দল থেকে বহিস্কারও করা হয়েছে।
জকিগঞ্জে ২ ভোটে জয়ী আহাদ
জকিগঞ্জ পৌরসভায় ২ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন আব্দুল আহাদ। তিনি নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক আহমদ জগ প্রতীক নিয়ে পান ২০৮১ ভোট; তিনিও বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন।
এ পৌরসভায় মেয়র পদে এ দু’জনসহ আটজন প্রার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিল উদ্দিন ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে ৬৬৯ ভোট, বিএনপি মনোনীত ইকবাল আহমদ তাপাদার ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে ৬০৭ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিফজুর রহমান ‘মোবাইল ফোন’ প্রতীক নিয়ে ১৯৬৫ ভোট, ‘হাঙ্গর’ প্রতীক নিয়ে জাফরুল ইসলাম ১১৫৬ ভোট, জাতীয় পার্টির আব্দুল মালেক ফারুক ‘লাঙ্গল’ প্রতীক নিয়ে ৭৫৯ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন ‘চামচ’ প্রতীক নিয়ে ১৮৫ ভোট পান।
নির্বাচনের সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাদমান সাকিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘পৌরসভার নয়টি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৩৪৫ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৯ হাজার ৭৪০ জন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ২১৫ ভোট। মোট কাস্টিং ভোট ৭৯ শতাংশ।’
গোলাপগঞ্জে নৌকার অবস্থান চার নম্বরে
গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় ‘জগ’ প্রতীকে ৫৮৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রাবেল।
তিনি এ পৌরসভার বর্তমান মেয়র। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু গত উপ-নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারণে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন রাবেল।
রাবেলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকারিয়া আহমদ পাপলুও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তিনি মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে ৪৫৫৮ ভোট পান।
এ পৌরসভায় বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা গোলাম কিবরিয়া শাহীন পেয়েছেন ৪২২২ ভোট। আর চার প্রার্থীর মধ্যে সবশেষ স্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা মো. রুহেল আহমদ। তিনি ১১৭৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনের সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, ‘শান্তিপূর্ণভাবে পৌরসভার নয়টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। মোট ২২ হাজার ৯১৬ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৬ হাজার ৫৩টি। মোট কাস্টিং ভোট ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন