জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের শ্যামলী আবাসিক এলাকায় একই রাতে তিন বাসায় দূর্ধর্ষ চুরি সংঘঠিত হয়েছে।
চোরচক্ররা বাসার লোকজনকে অচেতন করে জানালার গ্রিল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫ লাখ টাকাসহ প্রায় ৯ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এই তিন পরিবারের ১৬ জনকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পরিদর্শক আসাদুর রহমান ফেসবুকের স্ট্যাটাস ও ৯৯৯ এ সংবাদ পেয়ে ভোরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অচেতন অবস্থায় এই ১৬ জনকে উদ্ধার করেন।
তারা হলেন, পৌরসভার শ্যামলী আবাসিক এলাকার ব্যবসায়ী খালেদ আহমদ (৩৫), তার স্ত্রী উম্মে জাহান উর্মি (২৬) মা শামসুন্নাহার (৫০), বোন সাকেরা বেগম (৩৪), ভাই জাহেদ মিয়া (২০) ও কাজিন রাশেদ আহমেদ (২০), পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা টিউবওয়েল ঠিকাদার আব্দুল লতিফ (৫০), স্ত্রী রাহেলা বেগম (৪০), তার দুই কন্যা সীমা আক্তার (২৩) ও রীমা আক্তার (১৭), একই দালানের ওপর তলার ফরিদ মিয়া (৫০) ও স্ত্রী ও ৪ ছেলে- এদের নাম জানা যায়নি। পরিবার ৩টি জনৈক মিলন মিয়ার বাসাটিয়া হিসেবে তারা থাকতো।
ভুক্তভোগী খালেদ আহমদ ভগ্নিপতি বাকের মিয়া জানান, রাতে পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে পড়লে ভোর ৪টার দিকে খালেদ কিছুটা সুস্থ অবস্থায় জেগে উঠেন। এরপর পরিস্থিতি বুঝে তার ফেসবুকে বিষয়টি জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস ও একই সঙ্গে ৯৯৯ ফোন দেন।
খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ এসআই আসাদ আমি ও আমার পরিবারের পাঁচ জন সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
বাকের জানান, রান্না ঘরের জানালার গ্রিল ভেঙ্গে ডাকাতরা ভেতরে প্রবেশ করে আলমারি ভেঙ্গে ব্যবসার নগদ ৫ লাখ টাকা ও প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।
পুলিশের উদ্ধার কাজের সময় পাশের ও ওপরের ফ্লাটের বাসিন্দারা জেগে চিৎকার করলে পরিবার দুটির আরও ১১ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় পুলিশ। এর মধ্যে আব্দুল লতিফের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্যামলী এলাকার সমাজ সেবক এম এ কাইয়ুম জানান, খালেদ মিয়ার বাসা ছাড়া অপর দুই বাসার কোন কিছু চুরি হয়নি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন