জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার বান্ধবী ফারজানা জামান নেহার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এর আগে, ফারজানা জামান নেহাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সাজেদুল হক। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ বলছে, নেহা ভিকটিমের বান্ধবী। কিন্তু নেহা দাবি করছে, ভিকটিমকে সে চেনেই না।
পুলিশ আরো বলছে, নেহা ‘ডিজে নেহা’ নামে পরিচিত। সে বিভিন্ন পার্টি ও মদের আসরের আয়োজন করে। নেহা ও তার বন্ধু আরাফাত ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে পার্টি ও মদের আসরের আয়োজন করেছিল।
বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ফারজানা জামান নেহা। ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানের মেয়ে নেহা বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতো। প্রথম সেমিস্টার শেষ করলেও আপাতত পড়াশোনা বন্ধ আছে তার। দেশের বাইরে যাওয়ার লক্ষ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিলে ভর্তির চেষ্টার করছে নেহা। গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরাতে হলেও ঢাকাতেই তার বেড়ে ওঠা।
নেহা জানায়, যে তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে (নেহা) তাকে চেনে না। আরাফাত ছিলে সবার ‘কমন ফ্রেন্ড’। সেদিন আরাফাতই তাকে রেস্টেুরেন্ট ডেকে নেয়। সেদিন মদপান করে সেও অসুস্থ হয়ে পড়ে।
নেহা বলে, ‘আমিও আরেকটু হলে ভিকটিম (ধর্ষণের শিকার) হতাম।’ আরাফাত মদপানের কারণে মারা গেছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাতের বাসায় যায়। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যায়। সেখানে আগে থেকেই নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলো। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করায়। আরো জানা যায়, মদপানের একপর্যায়ে ওই তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তরুণীকে একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও সেখানে ছিলো।
ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেয়। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করে। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ওই তরুণী মারা যান।
এ ঘটনায় গত ৩১ জানুয়ারি চারজনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর বাবা। মামলায় অজ্ঞাত আরও একজনকে আসামি করা হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন