জিবি নিউজ ।।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষে
সুবিধা বঞ্চিত পথ শিশু ও ভিক্ষুকদের সাথে ভালবাসা বিনিময় করে অসহায় মানুষের সাথে দিনটি স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে মৌলভীবাজার জেলার সর্ববৃহৎ মাদক বিরোধী সামাজিক সংগঠন জেলা যুব কল্যান সংস্হার মৌলভীবাজার এর পৌর যুব কল্যান শাখার উদ্যোগে ১৫০ জন হতদরিদ্র পথশিশুদের মাঝে মধ্যাহ্নভোজ ও আনন্দ ভাগাভাগি করার মাধ্যমে ভালোবাসা দিবসের দিনটি উৎযাপন করেছে সংগঠনটি ।
১৪ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) এস.আর প্লাজার সম্মুখে , কুসুমবাগ
দুপুর ২ঘটিকা হইতে ৪ ঘটিকা পর্যন্ত ।
পৌর কমিটির সভাপতি নাজমূল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মুসতাকিন আহমেদের পরিচালনায়
প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন,আলিম উদ্দিন হালিম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,জেলা যুব কল্যান সংস্হা মৌলভীবাজার।
বিশেষ অথিতি, মো: নূরুল হক,সাধারণ সম্পাদক,জেলা যুব কল্যান সংস্হা মৌলভীবাজার।
এছাড়া উপস্হিত ছিলেন,জেলা কমিটির জনাব,
সহ-সভাপতি,মো: ইকবাল ,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক.লিংকন আহমদ,তারেক আহমদ,সাংস্কৃতিক সম্পাদক,সুয়েব আহমদ,সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক,শেখ তোফায়েল আহমদ,মহিলা সম্পাদিকা,শেখ রুমি ,
সদর উপজেলা কমিটির,সভাপতি শেখ নিজাম আহমদ,কলেজ কমিটির আহবায়ক,জুবায়ের আহমদ,যুগ্ন-আহবায়ক শেখ হেলাল আহমদ,
পৌর কমিটির সদস্যদের মধ্যে,প্রধান উপদেষ্টা,সামছুল হক জুয়েল,উপদেষ্টা ,এনামূল হক আলম,সুব্রত ধর শুভ,তাহের মিয়া মুন্না,সহ-সভাপতি,
রুহুল আমিন রুবেল,শেখ পারবেস আহমদ,যুগ্ন-সম্পাদক,সাদমান আহমেদ মাহি,হায়দার আলী নয়ন,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক,শেখ সুমন ইসলাম হৃদয় ,আপ্যায়ন সম্পাদক,সিপার আহমদ,শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক,মো: মাসুক ,প্রকাশনা সম্পাদক ,সুমন আহমদ,সদস্য ,সুলেমান আহমদ সানি,নুর আলম প্রমূখ।
পৌর কমিটি গত ১০ ফেব্রুয়ারি অনুমোদন পায় মাত্র চার দিনের মাতায় এ মহত উদ্যোগ হাতে নিয়ে তাদের ভালবাসা সুবিধা বঞ্চিতের সাথে ভাগ করে নেয় ।
গতকাল পৌর কমিটির এক জরুরী সভার আয়োজন করা হয় যার বিষয় ছিলো ১৪ই ফেব্রুয়ারী দিনটি কিভাবে পালন করা যায় ।উক্ত সভায় পৌর কমিটির সকল দায়িত্বশীলরা সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সাথে ভালোবাসা দিবসের দিনটি কাটিয়ে অসহায় মানুষের মনে ভালোবাসার দিনে ফালগুনের রঙ মাখাতে বদ্ধ পরিকর পরিকল্পনা হাতে নেয় এবং সর্ব সম্মতি পায় এই পরিকল্পনাটি । আমাদের আশেপাশে অনেক অসহায় মানুষ আছে তাদের চিন্তা করার মত সমাজের মানুষের বড্ড অভাব। তাই এই চিন্তা ধারায় পৌর যুব কল্যাণ সংস্থা হতদরিদ্র পথ শিশুদের সাথে ভালোবাসা বিনিময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
দিনব্যাপী শহরের ভিবিন্ন এলাকার অসহায় মানুষের সাথে গল্প , খুনসুটি, খেলাধুলা এবং আহারের মাধ্যমে একটি ব্যাতিক্রম ভালোবাসাময় দিন কাটানোই ছিলো তাহাদের মূল উদ্দেশ্য ।
ভালোবাসা দিবস নিয়ে কিছু তথ্য, ২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন।ধর্ম প্রচারের অভিযোগে তৎকালীন রোম সম্রাট ২য় কার্ডিয়াস তাকে বন্দী করেন।
কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্ট ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। আর তাই তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ফেব্রুয়ারী ছিল। অতঃপর ৮৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিও জুলিয়াস ভ্যালেন্টাইন'স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন। বাংলাদেশেও বর্তমানে এই দিবস পালন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে তরুণ সমাজের কাছে। পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ও বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির মিশ্রণে ভিন্নভাবে "বিশ্ব ভালোবাসা দিবস" নামে এটি পালিত হয়।
বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১৩ই ফেব্রুয়ারি তারিখে বসন্ত উৎসব তথা পহেলা ফাল্গুন উদযাপিত হয়। তার ঠিক পরের দিনই ভালোবাসা দিবস পালন করা হয় বিধায় অনেকের কাছেই এই দিবসটি বেশ উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। তবে কখনো কখনো অধিবর্ষের কারণে পহেলা ফাল্গুন এবং ভালোবাসা দিবস একই দিনে পালিত হয়। তখন বাংলাদেশের অধুনা তরুণ সমাজের কাছে আরও ভিন্ন উপায়ে উদযাপন করতে উৎসাহিত হয়। এই "ভালোবাসা দিবস" পালন করার আয়োজন হিসেবে সামাজিক গনমাধ্যম খুব বড় একটা ভূমিকা পালন করে।
তবে ভালোবাসা দিবস পালনের জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র তরুণ সমাজের কাছেই সীমাবদ্ধ নয়, এই ভালোবাসার উৎসবে সব বয়সের শ্রেণী-পেশার মানুষ আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাই পরিবারের সদস্যদের সাথে এবং সমলিঙ্গের বন্ধুদের সাথেও উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করেন অনেকেই।
উপস্হিত সকলে বলেন,
ভালোবাসা প্রসার হোক সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে । ভালোবাসা দিয়ে সমাজকে বদলাতে আসুন সবাই মিলে সামাজিক অবক্ষয় দূর করার লক্ষে কাজ করি ।
কাজকে ভালোবেসে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি এবং নিজের মান বাড়িয়ে নেই অনন্য মাত্রায় ।
আসুন সমাজের অসহার এবং দরিদ্র প্রতিবেশীদের জন্য ভালোবাসা হোক সহযোগীতার । এই ভালোবাসা দুনিয়া এবং আখিরাতে নিজের আমল হিসেবে কাজ করবে । দুনিয়াতে কিছু পাবার কথা চিন্তা না করে শুধু মাত্র আখিরাতের কথা মাতায় রেখে আসুন সমাজের অসহায় মানুষদের অবহেলা না করে তাদের প্রতি সৎ চিন্তা ও ভালোবাসা প্রদান করি ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন