জিবি নিউজ ডেস্ক ।।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০২২ সালের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুর সম্পূর্ণ অবকাঠামোর কাজ শেষ করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে ।
মন্ত্রী আজ মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পদ্মার নদী শাসন কাজ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। বিশ্বের দু’টি আনপ্রেডিক্টেবল রিভারের মধ্যে আমাজনের পরেই রয়েছে পদ্মা। এ নদীর জলপ্রবাহের গতি অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। এ কঠিন চ্যালেঞ্জ আমরা অতিক্রম করছি মহান স্রষ্টার রহমত এবং প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বে। পদ্মা সেতুর সাথে নদীর এপার থেকে ওপারে নেয়া হচ্ছে গ্যাস পাইপলাইন এবং অপটিক্যাল ফাইবার। এছাড়া সেতুর পাশেই নির্মাণ করা হচ্ছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। তিনি বলেন, সেতু নির্মাণে ৩৮৩ ফুট গভীরে পাইলিং করা হয়েছে, যা এক্ষেত্রে একটি রেকর্ড। এরই মাঝে নদী শাসন কাজের অগ্রগতি হয়েছে শতকরা ৭৯ ভাগ। ডাবল-ডেকার এই সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন এবং নীচ তলা দিয়ে ট্রেন চলাচলের পথ তৈরি করা হচ্ছে। স্থাপন করা হচ্ছে রোড এবং রেলওয়ে স্ল্যাব। এরই মাঝে যানবাহন চলাচলের জন্য ৭২ ফুট প্রশস্ত চারলেনের সড়কপথ তৈরির কাজ ৬১ ভাগ এবং রেলপথ তৈরির কাজ ৭৮ ভাগ শেষ হয়েছে। মূল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ৯২ ভাগ। আর প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৪ ভাগ। সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, পদ্মাসেতু শুধু মাত্র একটি সেতুই নয়, এ সেতুকে ঘিরে দেশের আগামী দিনের উন্নয়ন আবর্তিত হবে। পদ্মা সেতুর সাথে সংযোগ রেখে লেবুখালি ও কালনা সেতুর নির্মাণ কাজও এগিয়ে চলেছে। ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল এবং খুলনা-মংলা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের কাজ পরিকল্পনার আওতায় আনা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার সাথে সংযোগ ছাড়াও মংলা সমুদ্রবন্দর, নির্মাণাধীন পায়রা সমুদ্রবন্দর, বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর, পর্যটনের সাগরকন্যা কুয়াকাটা ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনকে ঘিরে গড়ে উঠবে অর্থনীতির নবতর প্রাণপ্রবাহ। এতে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতির চালচিত্র। এ সময় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম-সহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন