মিয়ানমারে সৈন্য চলাচল রুখতে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা অবরোধ

gbn

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিদিন বিক্ষোভ হচ্ছে। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রেকর্ডসংখ্যক মানুষ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। এদিকে, ইয়াঙ্গনে আরো সৈন্য মোতায়েন শুরুর খবরে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের ব়্যাপোটার কর্মকর্তা টম অ্যান্ড্রুস।

তিনি বলেন, ‘অতীতে সৈন্য মোতায়েনের সময় গণহারে হত্যা, আটক ও গুমের ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে গণবিক্ষোভের পরিকল্পনা ও সৈন্য মোতায়ন শুরুর খবরে আমি শঙ্কিত।’

 

অ্যান্ডুসের সঙ্গে একমত মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্র্যানার বার্গেনার। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, মিয়ানমারে ২১টি এথনিক সশস্ত্র গোষ্ঠী অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে। ফলে সংঘাতের আশঙ্কা অনেক বেশি।''

ইয়াঙ্গনে প্রতিবাদকারীরা সামরিক যানের চলাচল ব্যাহত করতে রাস্তায় গাড়ি রেখে ব্যারিকেড তৈরি করেছেন। তারা মঙ্গলবার সামরিক বাহিনীর দেয়া এক তথ্যে গভীর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সেদিন শাসকগোষ্ঠীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন দাবি করেন, দেশটির পাঁচ কোটি ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে চার কোটি মানুষ সামরিক বাহিনীর কার্যক্রম সমর্থন করছে। এর প্রতিক্রিয়ায় খিন নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘তারা যা বলছে তা পুরোপুরি মিথ্যা... তারা বলছে, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, কিন্তু এখানে জমায়েত হওয়া মানুষগুলোকে দেখুন।''

অভ্যুত্থানের দিন অং সান সু চিকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে ন্যাচারাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন ভঙ্গ ও অবৈধভাবে ছয়টি ওয়াকিটকি রেডিও আমদানির অভিযোগ আনা হয়েছে। মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত শুনানিতে পরবর্তী শুনানির দিন ১ মার্চ ধার্য করা হয়েছে।

১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিদিন মিয়ানমারে বিক্ষোভ হচ্ছে।

এদিকে, টানা তৃতীয় রাতের মতো মঙ্গলবার রাতেও ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল সামরিক বাহিনী। ফলে স্থানীয় সময় রাত ১টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এছাড়া তারা এমন একটি আইনের খসড়া তৈরি করছে বলে জানা গেছে, যেটা অনেক অনলাইন কার্যক্রমকে অপরাধ বলে গণ্য করবে।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন