সরকারি সব নিয়োগে ডোপ টেস্ট করা হবে: মোজাম্মেল হক

gbn

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

সরকারি চাকরিতে সব নিয়োগে কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রত্যেকের ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বুধবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, যত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ হবে, সেটা বিসিএস হোক আর যাই হোক, প্রত্যেকের ডোপ টেস্ট করা হবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও ডোপ টেস্ট চালু করা হবে।

 

তিনি আরও জানান, যারা চাকরিতে আছেন তাদের বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদেরও ডোপ টেস্ট করা হবে। এই কার্যক্রম ব্যাপক হারে প্রয়োগ হবে এবং বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। গড় হারে করা হবে না, সবার গড় হারে করা সম্ভব না।

মোজাম্মেল হক জানান, মাদকমুক্ত এলাকা ঘোষণা করার জন্য দুইটি জেলায় পাইলট প্রকল্প চালু করা হবে। এ জেলা দুইটি হল চট্টগ্রাম ও দিনাজপুর। এ জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এই জেলা দুটিকে মাদকমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

তিনি বলেন, দেশকে মাদকমুক্ত করার জন্য তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাদকসেবী, বিক্রেতা এবং এদের আশ্রয়দাতাদের চিহ্নিত করে দমন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি নির্দেশনা ছিল বড় মাদক ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত গডফাদার এবং তাদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, তাদের তালিকা করার। তারা কিছু তালিকা তৈরি করেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কার্যালয় বাংলাদেশে করার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বিটিআরসিকে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অবাধ তথ্য প্রবাহের কারণে জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অপপ্রচার, অপসংস্কৃতি, বিভ্রান্তি রোধ করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজার হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপন যাচ্ছে। কারা এসব দিচ্ছে, কেন দিচ্ছে, এসব বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য এনবিআরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মোজাম্মেল হক জানান।

রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের এখানে রোহিঙ্গারা আছে। আমরাও একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রিফিউজি ছিলাম। রিফিউজিরা কখনও স্থায়ী নাগরিকত্ব পায় না। রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তাদের কিছু নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারে যারা আছেন, এখানে মাঝে মধ্যে ক্রাইমের কথা শোনা যায়। এখানে যাতে কোনো ধরনের ক্রাইম না হয় সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন