নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সরকারী দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর দু:খ প্রকাশ এবং তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, এই হত্যার দায় কার ? সাংবাদিক মুজাক্কিরের মৃত্যুতে কি জবাব দেবে সরকার। তার পরিবারকে কি বলে সান্তনা দেয়া হবে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, অশান্ত হয়ে ওঠা কোম্পানীগঞ্জে বিবদমান দুই পক্ষের অপরাজনীতির নির্মম বলি হয়েছেন তরুণ সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। ওই ঘটনার সঙ্গে যে বা যাঁরাই জড়িত থাকুক না কেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাঁদের আইনের আওতায় আনার কোন বিকল্প নাই। অন্যদিকে লাশ নিয়ে যেন কেউ কোন ধরনের রাজনীতি করতে না পারে সেই দিকে প্রশাসনকে স্বাজাক দৃষ্টি রাখতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, সারা দেশে এর আগেও অনেক সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। সে সবের সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় এ ধরনের সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। অপরাজনীতির শিকার হয়ে নিহত ও নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকদের পরিবার ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় আরো বলেন, সাংবাদিক হত্যায় বিচার না হওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। সাংবাদিক হত্যার দুই-তৃতীয়াংশই ঘটেছে তাঁদের পেশাগত কাজের কারণে। বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি, তদন্তে ধীরগতি, তদন্ত না হওয়া উদ্বেগের। সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় বিচারে খুবই ধীরগতি দেখা যায়। এখন পর্যন্ত কোনো সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় যথাযথ বিচার হয়নি। সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত যথাযথ তদন্ত পর্যন্ত হয়নি।
তারা বলেন, সাংবাদিক হত্যার ঘটনা আতঙ্কের, হত্যার পর বিচার না হওয়াটা উদ্বেগের। হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে রাষ্ট্রকে বের হয়ে আসতে হবে। না হলে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন