পিলখানার 'ঘটনার পেছনের রহস্য' উদ্ঘাটন প্রয়োজন : ন্যাপ মহাসচিব



২৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শোক দিবস পালনের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন পিলখানা ট্রাজেডির 'ঘটনার পেছনের রহস্য' উদ্ঘাটন প্রয়োজন। দেশ ও জাতির স্বার্থেই বিডিআর বিদ্রোহের নেপথ্য রহস্য জাতিকে জানানো উচিত সরকারের। সেই সাথে সেনা হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা প্রয়োজন।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্রাজেডির ১১ বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পিলখানা হত্যা মামলার অন্যতম রায়দানকারী বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী তাঁর দীর্ঘ রায়ে ‘ঘটনার পেছনের ঘটনা’ উদ্ঘাটনে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের সুপারিশ করলেও আজও তা আলোর মুখ দেখে নাই। মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত প্রান্তরে সামান্য সংখ্যক প্রাচীন অস্ত্র নিয়ে তৎকালীন ইপিআর বাহিনী এক অসামান্য ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছিল। সেই বাহিনীকে যারা বিতর্কিত করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, শহীদ সেনা অফিসাররা সকলেই ছিলেন জাতির সম্পদ। তাদের অভাব পূরন করা খুবই কঠিন কাজ। বাংলার মাটিতে হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কদের ক্ষমা নাই, যত শক্তিধর হোক না কেন তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় হতেই হবে একদিন। ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের এদেশের দোসররা বাংলাদেশের পতাকা-মানচিত্র ধ্বংস করতে প্রথমেই আঘাত করেছে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে।

তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারিভাবে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, একটি দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের সরকারের কাছ থেকে জাতি এই ধরনের সিদ্ধান্তই প্রত্যাশা করছে দীর্ঘ সময় যাবত। এই সরকারের কাছে কোন ধরনের সিদ্ধান্তহীনতা প্রত্যাশা করে না জাতি। ট্রাজিডির একযুগেও যখন জাতীয় শোক দিবস ঘোষনা করা হয়না তখন জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হয়, ক্ষোভও সঞ্চিত হয়।

বিডিআর বিদ্রোহকে দেশবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি আরো বলেন, বিদ্রোহের রহস্য উদঘাটনে গঠিত তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট অবিলম্বে জাতির সামনে প্রকাশ করা উচিত।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া'র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন গণ রাজনৈতিক জো-গর্জো সভা প্রধান সৈয়দ মঈনুজ্জামান লিটু, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজু, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, মানবাধিকার সংগঠক পারভেজ হোসেন বাবু প্রমুখ।

আলোচনা সভার শুরুতে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর ট্রাজেডিতে শাহাদাত বরণকারীদের প্রতি ১ মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং আলোচনা সভা শেষে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন