সৈয়দ নাজমুল হাসান, ঢাকা ||
উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে ছয় বছর পর রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত হলো রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সম্মেলন। বিলুপ্ত করা হল আগের কমিটি।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনার চত্বরে হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেনবাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, ছাত্রলীগের গণশিক্ষা সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর তৌহিদুর রহমান কিটু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ । অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব।
সম্মেলনের শুরুতে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের শিল্পীরা দেশাত্তকবোধক গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এরপর অতিথিরা অনুষ্ঠান ইস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা একযোগে উত্তোলন করেন এবং একঝাক শুভ্র শান্তির প্রতীক পায়রা নীল আকাশে উড়িয়ে সম্মেলনের শুভ সূচনা করেন।
সম্মেলনের উদ্বোধণী বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, " আজকে দেশ্রত্ন শেখ হাসিনা দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় যেন পাশে থাকতে পারি। আমরা কোন রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগে ঠাই দিবনা। জাতির পিতার নিজ হাতে গড়া এই ছাত্র সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে পরিশ্রম তা কোন অনুপ্রবেশকারীরা নষ্ট করতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে আমাদেরকে।"
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ''বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। এদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রলীগের ইতিহাস যে পড়বে, তার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কোন কিছুই অজানা থাকবে না।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ ফিনিক্স পাখির মতো একটি সংগঠন। ছাত্রলীগকে যতবার আঘাত করা হয়, ধংস করার ষড়যন্ত্র করা হয়, ততবার আবার নতুন করে জেগে ওঠে ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগ নতুন করে এগিয়ে যায়। ছাত্রলীগ যত সুশৃঙ্খল হবে, পরিশীলিত হবে, চাঁদাবাজ মুক্ত হবে, ছাত্রলীগ তত সামনের দিকে অগ্রসর হবে। কারণ আগামীতে ছাত্রলীগ থেকেই এমপি, মন্ত্রী ও মেয়র নির্বাচিত হবে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় নেতৃত্ব দিবে।''
তিনি আরো বলেন, ''ছাত্রলীগ যত সুশৃঙ্খল হবে, পরিশীলিত হবে, চাঁদাবাজ মুক্ত হবে, ছাত্রলীগ তত সামনের দিকে অগ্রসর হবে।২০১৫ সালে বিএনপি-জামাত, মৌলবাদী চক্র সারাদেশের মতো রাজশাহীতে আগুন সন্ত্রাস করেছিল। সে সময় রাজশাহীতে ছাত্রলীগের নেতবৃন্দ বিএনপি-জামাতের সেই আগুন সন্ত্রাস রুখতে সাহসী ভুমিকা পালন করেছিল, আমরা ছাত্রলীগকে সাথে নিয়ে আগুন সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করেছি।''
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি মাহ্মুদুল হাসান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিব খান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফরসাল আহমেদ রুনু, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন