সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কার পর রাস্তায় আর্মেনিয়ার জনগণ

  জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

সামরিক অভ্যুত্থান হতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী আশঙ্কা জানানোর পর রাস্তায় নেমে অভ্যুত্থান বিরোধী র‌্যালি করেছে আর্মেনিয়ার হাজারো মানুষ। সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগ দাবির পর রাজধানী ইয়েরেভানে তারা বিশাল র‌্যালি করেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

আর্মেনিয়ার মিত্র দেশ রাশিয়া বলছে, তারা সাবেক সোভিয়েত রিপাবলিক দেশটি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। উদ্ভূত সমস্যা সংবিধানের আলোকে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।

 

অন্যদিকে নাগারনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজানের কাছে কার্যত পরাজিত আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছে কাস্পিয়ান তীরের দেশটি। তারা বলেছে, আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী আজারবাইজানের ওপর প্রতিশোধমূলক চিন্তা থেকে দূরে না থাকলে তাদের তীব্র আঘাতের মোকাবেলা করতে হবে। গত নভেম্বরে প্রতিবেশি আজারবাইনের সঙ্গে আর্মেনিয়া ছিটমহল নাগার্নো কারবাখ নিয়ে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ওই যুদ্ধে আর্মেনিয়া কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর ৪৫ বছর বয়সী পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবি উঠতে শুরু করে।

গতকাল সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবি জানায়। জেনারলেদের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বর্তমান কর্তৃপক্ষের অকার্যকর ব্যবস্থাপনা এবং মারাত্মক ভুলের কারণে দেশ ধ্বংসের দ্বারাপ্রান্তে।’ বিবৃতিতে সেনাপ্রধানের বরখাস্তের সমালোচনা করে বলা হয়, ‘এটা দেশের জন্য দায়িত্বহীন ও ক্ষতিকর এক সিদ্ধান্ত।’

এদিকে, সেনাবাহিনীর বিবৃতির পক্ষে সাফাই দিয়ে আর্মেনিয়ার সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট কোচরিয়ান এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট সার্কিসিয়ান প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান সেনাবাহিনীর পদত্যাগের আহ্বানের পর তার সমর্থকদের রাজধানী ইয়ারেভেনে র‌্যালি করার আহ্বান জানান। ফেসবুক লাইভে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তার বক্তব্যের পরই হাজারো আর্মেনীয় রাস্তায় নেমে আসেন। পাশিনিয়ার বলেন, এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো জনগণের হাতে ক্ষমতা রাখা। এসময় তিনি সেনা অভ্যুত্থান আশঙ্কার কথা বলেন। এরপর তিনি তার স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যাকে নিয়ে প্রধান সরকারি ভবনের বাইরে আসেন সেখানে তার কয়েক হাজার সমর্থক জড়ো হয়। উত্তেজনা বৃদ্ধি সত্ত্বেও সংঘর্ষ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া তীব্র শীত ও তুষারপাত উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় দিয়ে রাজধানী ইয়েরাভানে সরকারবিরোধী হাজারো মানুষ অন্য আরেকটি বিক্ষোভ করে ‘নিকোল, তুমি দেশদ্রোহী’, ‘নিকোল, পদত্যাগ করো’ বলে স্লোগান দেয়। সাংবাদিকতা থেকে রাজনীতিতে উত্থান নিকোল পাশিনিয়ান ২০১৮ সালে এক শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের পর আর্মেনিয়ার ক্ষমতাগ্রহণ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর পদত্যাগের দাবি নাকচ করে দিয়ে বলছেন, যেটা ঘটেছে তিনি তার দায়িত্ব নিতে রাজি আছেন কিন্তু এখন দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে তার ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন।

এ অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ তুরস্ক আর্মেনিয়ায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারকে পদত্যাগ করতে বলায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেগলুত কাবুলোস্কু বলেছেন, বিশ্বের যে কোনো দেশে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে তুরস্ক। আর্মেনিয়ায় সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয়ে তার দেশ সতর্ক।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন