মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা) প্রতিনিধিঃ -সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের স্থাপনায় বৃহস্পতিবার হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকে মার্কিন সেনাদের অবস্থানে সাম্প্রতিক রকেট হামলার জবাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও বহু আহতের খবর পাওয়া গেছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশনায় মার্কিন সামরিক বাহিনী সিরিয়ায় ইরানসমর্থিত মিলিশিয়াদের ব্যবহৃত স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর নেতৃত্বাধীন মিত্র বাহিনীর সেনাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হামলার জবাব হিসেবে এই বিমান হামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পেন্টাগনের তথ্যানুসারে, সাতটি লক্ষ্যবস্তুতে সাতটি ৫০০-এলবি জয়েন্ট ডাইরেক্ট অ্যাটাক মিউনিশন-গাইডেড বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রোপাচারে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ব্যবহৃত একটি সংযোগস্থলও হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে। পেন্টাগন মুখপাত্র কিরবি বলেন, কাতায়েব হিজবুল্লাহ ও খাতিব সাইয়িদ আল শুহাদাসহ ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর ব্যবহৃত সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ পয়েন্টের বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কখন আমরা আমাদের অধিকার প্রয়োগে কী করব তা আমাদের পছন্দ। আমরা আমাদের জবাব কীভাবে দেই তা সময়ের ওপর নির্ভর করে। অনেক সময় মিশ্র কৌশল নেয়া হয়। কখনও তা দৃশ্যমান হয় আর কখনও তা অদৃশ্যভাবে হয়। কী বার্তা দিতে চান বাইডেন? সিরিয়ায় হামলা চালানোর অনুমতি দিয়ে মূলত জো বাইডেন যুদ্ধের পক্ষেই তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। আলোচনার টেবিলে সমাধানের বদলে বিভিন্ন ইস্যু সমরশক্তি দিয়েই মোকাবেলা করার আভাস দিয়েছেন তিনি। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে ট্রাম্পের পথেই অনেকটা হাঁটবেন বাইডেন। সিএনএনের বিশ্লেষণে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এ আক্রমণ পরমাণু ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় জটিলতা তৈরি করবে। পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্রের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান জানায়, এই হামলার মাধ্যমে প্রতিপক্ষগুলোকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন বাইডেন। আমেরিকা ও তার মিত্রদের সুরক্ষায় তিনি যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তারা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিরিয়া ও ইরাকে প্রতিপক্ষকে পাল্টা জবাব দেবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন