সিলেটে মওদুদ ‘হত্যা’ : হাছনুরকে রোববার আদালতে তোলা হবে

 জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

কী ঘটেছিলো সেদিন সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে- তা এখনও অজানা। এ রহস্য উদঘাটনে সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুরকে রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। তাকে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তোলা হবে আদালতে।

হাছনুর বন্দরবাজারে ব্যাংকার মওদুদ আহমদকে (৩৫) পিটিয়ে ‘হত্যা’র মূল অভিযুক্ত। হাছনুর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকাল ১১টায় সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে।

রোববার তাকে আদালতের তোলার বিষয়টি  জানিয়েছেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ।

তিনি জানান, সিলেটে ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদ হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় একমাত্র আসামি সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুরকে রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকাল ১১টায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে হাসনুরের ৭ দিনের রিমান্ডের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। তবে বুধবার আদালতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।। আগামীকাল (সোমবার) তাকে আদালতে ফের তোলা হবে এবং রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

গত বুধবার সকাল ১১টায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন হাছনুর। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিপক্ষে লড়ছেন আইনজীবি অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন দিলু।

উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকালে জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় নগরীর বন্দরবাজারে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ (৩৫)। সেখানে চালক নোমান হাছনুরের (২৮) সাথে ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয় মওদুদের। তখন হাছনুরসহ সিএনজি অটোরিকশা চালকরা মওদুদ আহমেদকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পর হত্যাকাণ্ডকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রচার চালায় পরিবহন শ্রমিকরা।

নিহত মওদুদের বড়ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদি হয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক নোমান হাছনুর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে, ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদকে পিটিয়ে ‘হত্যা’র ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুর  ঘটনার পর গ্রেফতার এড়াতে ঢাকার কাছাকাছি একটি এলাকায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে তার সঙ্গের পরিবহন শ্রমিকরা তাকে বুঝিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করান।

ব্ষিয়টি গত বুধবার আদালতপাড়ায়  জানিয়েছেন জিন্দাবাজার মুক্তিযোদ্ধা উপ-পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা শিবলি আহমদ।

শিবলি আহমদসহ কয়েকজন শ্রমিক নেতা এ প্রতিবেদককে জানান, ‘জিন্দাবাজার মুক্তিযোদ্ধা উপ-পরিষদের নেতৃবৃন্দ হাছনুরকে আত্মসমর্পণ করানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এ কয়েকদিন হাছনুরকে তার আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খুঁজেছেন। হাছনুর গ্রেফতারের ভয়ে অনেক দূর চলে গিয়েছিলেন। ঢাকার কাছাকাছি একটি এলাকায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে তাকে বুঝিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করানো হয়েছে।’

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন