জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
বলের ওপর বাড়তি বার্নিশের আস্তরণ। তাতেই তফাৎ ঘটে যাচ্ছে লাল এবং গোলাপি বলের? জো রুটের মতে স্পিনারদের বল অনেক দ্রুত ব্যাটে আসছে দিনরাতের টেস্টে। এসজি সংস্থা আরো বেশি পরীক্ষা করতে চাইছে গোলাপি বল নিয়ে।
ভারতের মাটিতে এখনো অবধি ২টি গোলাপি বলের টেস্ট খেলা হয়েছে। ভারতে টেস্টের লাল বল তৈরি করে এসজি সংস্থা। তারাই তৈরি করেছে গোলাপি বল।
২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট খেলেন বিরাট কোহলিরা। সেই ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিলো আড়াই দিনে। মোতেরায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট শেষ হয় ২ দিনে। ভারতীয় দলের অনেকেই এই বল পছন্দ করছেন না বলে জানা গিয়েছে। গোলাপি বলের ভবিষ্যৎ কি তবে অন্ধকার?
ভারতীয় বোর্ড যদিও বলছে, গোলাপি বলে খেলা হবেই। টেস্ট ক্রিকেটে দর্শক টানতে গোলাপি বলের ভূমিকা বড় হতে চলেছে।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন, গোলাপি বলে খেলতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। লাল বলে খেলতে আমরা অভ্যস্ত। হঠাৎ গোলাপি বল চলে আসায় খেলাটাই পাল্টে গিয়েছে। আমরা এখনো মানিয়ে নিতে পারিনি বলে অসুবিধা হচ্ছে।
ইডেনে গোলাপি বলের টেস্টে পিচে ঘাস ছিলো প্রায় ৬ মিলিমিটার। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে যদিও সেই সবের চিহ্নই ছিলো না। ২ টেস্টেই দাপট দেখিয়েছিলেন বোলাররাই। কলকাতায় ২৮টির মধ্যে ২৭টি উইকেট নিয়েছিলেন পেসাররা। মোতেরায় ৩০টি উইকেটের মধ্যে ২৮টিই নেন স্পিনাররা।
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক রুট বলেন, বাড়তি আস্তরণ, বেশি শক্ত গোলাপি বল, লাল এসজি বলের থেকে অনেক দ্রুত। সেলাইয়ের ওপর না পড়লেও গতি থাকে বলে।
অশ্বিন বলে, সেলাইয়ের দিক পিচে পড়লেও স্পিন করছিলো বল।
এসজি সংস্থার বিপণন শাখার প্রধান পরস আনন্দ বলেন, ২০-২৫ ওভার অবধি বলে চকচকে ভাব থাকে। তারপর যে কোনো পুরোনো বলের মতোই আচরণ করে গোলাপি বল। পিচে ঘাস থাকা বাঞ্ছনীয় এই বলের ক্ষেত্রে। চকচকে ভাবটা অনেকক্ষণ ধরে রাখা যায়।
ঘাস না থাকলে স্পিনে বাড়তি সুবিধা করে দিচ্ছে গোলাপি বল? আনন্দ বলেন, বাড়তি বার্নিশ রাখতেই হবে, নইলে রাতের দিকে বল দেখা যাবে না। আমাদের অনেক পরীক্ষা করতে হবে এখনো। আমাদের হাতে সময় রয়েছে এটাই ভালো দিক।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন