ক্যাম্পাসে পুলিশের গাড়ি দেখলে আগুন ধরিয়ে দেবেন: নুর

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর সোমবার (১ মার্চ) এক বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছেন, এখানে পুলিশের গাড়ি রয়েছে। আমি আমার ছাত্র ভাইদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, পুলিশের গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে কেন? এটা কি ক্যান্টনমেন্ট? বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এরপর আপনারা যদি পুলিশের গাড়ি দেখেন, তাহলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেবেন। আগুন ধরিয়ে, গাড়ি পুড়িয়ে আমাকে হুকুমের আসামি করবেন।

সোমবার (১ মার্চ) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, শাহবাগে মশাল মিছিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বামছাত্রজোটের ৭ নেতা ও রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় টিএসসি থেকে ছাত্রদলের তিন নেতাকে আটকের প্রতিবাদে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন।

 

পুলিশের বর্তমান কর্মকাণ্ডের অবস্থা তুলে ধরে নুরুল হক নুর বলেছেন, আজকে পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি করে দেয়া হয়েছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু কিন্তু কিছু কিছু পুলিশের ভূমিকা তো আমরা দেখেছি, তারা প্রমোশনের ধান্দায় সরকারের অ্যাটেনশন গ্রো করার জন্য বিভিন্ন আকাম-কুকাম করে বেড়াচ্ছে। ছাত্রদের মারছে, নারীদের লাঞ্ছনা করা হচ্ছে, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে অমানবিক আচরণ করছেন। নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ বর্তমানে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

এছাড়া নুরুল হক নুর ঢাবি ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশিদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন এবং আটক সব ছাত্রদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

নুর বলেন, ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি ছিলেন বিচারপতি আব্দুল মতিন চৌধুরী। লন্ডনে বসে তিনি যখন শুনলেন তার ছাত্রদের ওপর গুলি করা হয়েছে, তার ছাত্ররা নিহত হয়েছে। তখন তিনি পাকিস্তান হাইকমিশনারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর গুলি করা হয়েছে, আমার ছাত্ররা মারা গেছে, আমি আর ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারি না।

নুর আরও বলেন, বর্তমানে কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হচ্ছে? প্রক্টর হচ্ছে? শ্রমিক লীগের নেতাদের সুপারিশে নাকি ভিসি হচ্ছে। সিনিয়র অধ্যাপকরা বলেন, এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পায়ের নিচে পড়ে থাকতেন রাজনীতিবিদরা। ধুলো নেব এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এমপি-মন্ত্রীদের ধুলা নিতে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদ-পদবিতে আসার জন্য৷ এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে যাওয়ার জন্য কিছু শিক্ষক সরকারের দালালি করে। তাদের অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তারা আজকে শ্রমিক নেতাদের সুপারিশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হচ্ছে।

ঢাবি ভিসি-প্রক্টরের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন, তাহলে পদত্যাগ করুন। নতুবা আপনাদের নিয়ে কেউ গাভী বিত্তান্ত টু (দুই) লিখবে। কারণ আহমদ ছফা যে প্রসঙ্গে গাভী বৃত্তান্ত লিখেছিলেন, তার চেয়েও আপনারা জঘন্য কাজ করছেন।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন, যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক হাসান, মাহফুজুর রহমান, ঢাবি শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন, ঢাবি শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন, সালেহ উদ্দিন সিফাত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন