জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
সিলেটের বিছনাকান্দিতে আবারও শুরু হয়েছ অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার (২ মার্চ) সেখানে পরিবেশ অধিদপ্তর, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানকালে ধ্বংস করা হয়েছে ৫০টি বোমা মেশিন।
বিষয়টি সিলেটভিউ-কে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ও জাফলং, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ ও কানাইঘাটে লোভাছড়া এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে গত তিন বছরে অন্তত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের এপ্রিল থেকে সিলেট জেলার সকল কোয়ারিতে পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো। এছাড়া উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনায় গত এপ্রিল থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ ছিলো সিলেটের সব কোয়ারিতে।
এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)-এর একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে সিলেটের সব পাথর কোয়ারি থেকে যান্ত্রিক উপায়ে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালত। তবে সম্প্রতি উচ্চ আদালতের একটি নির্দেশনার অজুহাতে আবারও সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দিতে অবৈধভাবে বোমা মেশিন ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে পাথর উত্তোলন শুরু করেছে পাথর ব্যবসায়ীরা।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত টানা ছয় ঘণ্টা সেখানে যৌথভাবে অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর, র্যাব ও বিজিবি। অভিযানকালে ৫০টি পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত যন্ত্র (বোমা মেশিন) ধ্বংস করা হয়।
এ বিষয়ে সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, পাথরখেকোদের থাবায় বিছনাকান্দির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। কোনো কোনো স্থানে দেড় থেকে দু শ ফুট গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলন করছে তারা। খবর পেয়ে আজ (মঙ্গলবার) বিছনাকান্দিতে যৌথভাবে অভিযান চালানো হয়েছে।
এমরান হোসেন বলেন, ‘পাথরখেকোরা অভিনব পন্থায় বস্তায় মুড়িয়ে বোমা মেশিন মাটির নিচে চাপা দিয়ে রাখে। পরে সুযোগমতো এগুলো ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন করে। আজ এসব গর্ত খুঁজে খুঁজে ৫০টি মেশিন জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন