“দেশে ও বিদেশের অনেকেই ড. মিজানকে শিক্ষা উপদেষ্টা হিসাবে দেখতে আগ্রহী”

 হাকিকুল ইসলাম খোকন//

বিশ্বাস,শ্রম,মেধা ও চেষ্টার অপূর্ব সমন্বয় সাধন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মিজানুর রহমান একজন সফল শিক্ষাবিদ দেশে ও বিদেশে বেশ সুপরিচিত।সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বিভিন্ন সময়ে তিনি বলেন-শিক্ষকতাকে যাঁরা মহান পেশা বলে মনে করেন তাঁদের কাছে শিক্ষকতা দস্তুরমতো নেশা।শিক্ষকদের তিনি মানুষ গড়ার আসল কারিগর মনে করেন।তিনি শিক্ষকদের নৈতিকতা,নি:স্বার্থ, লোভ ও মোহের উর্ধে থাকা,সততা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।ছাত্রছাত্রীদের কল্যানে নিজের উৎসর্গ করার নামই শিক্ষকতা বলে মনে করেন। যে বা যারা এসব আপন করে নিতে পারবেনা-তাদের এই মহান পেশা থেকে দূরে থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

 

টক’শোয়ের কল্যানে দেশে বিদেশে এমনকি দেশের প্রত্যন্ত অন্চলেও ড. মিজানুর রহমান অত্যন্ত সুপরিচিত একটি নাম। বিভিন্ন সময়ে তিনি বলেন-আমাদের সমাজে অনেক ভাল,মেধাবী ও সৎ মানুষ রয়েছেন।তাঁরা একান্তই নিজের প্রচেষ্টায় দেশ ও জনগনের কল্যানের লক্ষ্যে কাজ করেন।অন্যের সামগ্রিক মঙ্গলের জন্যও অবিরাম কাজ করে থাকেন।তাঁদের মননে,চিন্তায়,চেতনায় সবসময় মানুষের সর্বাঙ্গীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যেই পরিচালিত।মানুষের মাঝেই এঁরা সারাটা জীবন কাটিয়ে দেন।আলোকিত মানুষ হিসাবে আমরা এঁদেরই মনে করি। সমাজে যে বেশী আলোকিত মানুষ আছে তা বললে ভূল হবে।হাতে গোনা যে ক’জন আছেন-সংকীর্ণ মনমানসিকতার জন্য অনেকেই নিজেদের পর্দার আড়ালে নিজেদের সরিয়ে রাখেন বলে ড.মিজান মনে করেন।

অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র আদর্শের একান্ত অনুসারী।যা তিনি খোলাখুলিভাবে বলতে ভালবাসেন।তবে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভি সি নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি নিজের আদর্শে অটল অবিচল থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে দলীয়করণকে বিন্দুমাত্র প্রশ্রয় দেওয়ার তেমন কোন অভিযোগ কোথাও পাওয়া যায়নি।কর্মজীবনে নিজ আদর্শের অনুসারীদের কোন অন্যায় আবদারকে প্রশ্রয় দেননি বলে ব্যাপক জনশ্রুতি আছে।

প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকান্ডের বাইরে তিনি পত্রপত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন।মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক,বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’কে নিয়ে রচিত গ্রন্থ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।’মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও উন্নয়ন ভাবনা’, উত্তরগনতন্ত্র ও লিংকনের পিপল সমালোচকদের ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে।ড.মিজানের সম্পাদনায় মহাকালের মহানায়ক  মুক্তিযুদ্ধ ও সমসাময়িক বিষয়ে একটি অনন্য রচনা হিসাবে রাজনৈতিক ও সামাজিক,সাংস্কৃতিক বোদ্ধারা মনে করেন।ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিতে ড.মিজানুর রহমানের অনবদ্য ভূমিকা স্মরণীয়।শিক্ষকতার পাশাপাশি সামাজিক অঙ্গনেও ড. মিজান বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন।তিনি দেশের সকল প্রগতিশীল যুব আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কোষাধ্যক্ষ পদে থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন।শেখ বোরহানউদ্দীন কলেজের গভর্নিংবডির চেয়ারম্যান,আইসিএমএ-বাংলাদেশের কাউন্সিল মেম্বার,ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের পরিচালক,বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরী কমিশনের ফাইন্যান্স কমিটির সদস্য ছাড়াও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন।ড. মিজান বর্তমানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় সহ নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট।

 

জন্ম ও পরিবার:

অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ১৯৫৮ সালে কুমিল্লার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।পারিবারিক জীবনে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী নাজমা আকতার সহধর্মিনী।একমাত্র পুত্রের নাম অনিন্দ্য রহমান।পুত্রবধু নাজিয়া আফরিন মনামী সময় টিভি’র নিউজ এডিটর।অবসরে একমাত্র নাতি আনুষ তাঁর প্রিয় বন্ধু এবং অনন্ত প্রেরনার উৎস বলে তিনি মনে করেন ও সবাইকে বেশ হাঁসিমূখে বলতে ভালবাসেন।

১৯৭৩ সালে তিনি কুমিল্লা বিবির বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি,কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পাশ করেন।১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি হন।একই বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।তিনি ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।

অধ্যাপক ড.মিজানুর রহমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ উপাচার্য।২০১৩ সালের ২০’শে মার্চ প্রথমবার ও ২০১৭ সালের ১৯’শে মার্চ দ্বিতীয়বার বার গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন।                   

ড. মিজান একজন সাদা মনের মানুষ।মূলত: সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করেন।কর্মক্ষেত্রে তিনি সে প্রমান রেখেছেন।দুই মেয়াদে উপাচার্য থাকা অবস্থায় তিনি অন্তত: চারশ’জনেরও বেশী শিক্ষক নিয়োগদান করেন। অসংখ্য ছাত্রছাত্রী’দের টিউশন ফি মওকুফ করেন।

বাংলাদেশের শিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়ন,সম্প্রসারণ ও আধুনিক বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রেখে  যথাযথ গবেষনাভিত্তিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য অধ্যাপক ড.মিজানুর রহমানকে দেশ ও জাতির ব্যাপক কল্যানের লক্ষ্যে”শিক্ষা উপদেষ্টা”হিসাবে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে বলে দেশ ও প্রবাসের অনেক বিজ্ঞজনকে বলতে দেখা গেছে। অভিজ্ঞ ও মেধাবী সকল মহলের গ্রহনযোগ্য বরেণ্য এই শিক্ষাবিদের পটেনশিয়েল ও মূল্যায়নের বিষয়টি দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা ও ব্যবস্থার নিরীখে নতুন করে ভেবে দেখার মত বলে বিষয়টি দেশ ও প্রবাসের বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞমহলকে বলতে দেখা যায়।

আমরা ড.মিজানুর রহমানের ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে দেশ ও জাতির জন্য নিজেকে যাতে নিবেদিত ও উৎসর্গিত করতে পারেন-সেই দোয়া করি।ড. মিজানের জন্য রইলো অশেষ ভালবাসা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।

লেখক:এডিটর,বাপসনিউজ ও

এনওয়াইবিডিনিউজ, রাজনীতিক,এবং সিনিয়র সাংবাদিক ,যুক্তরাষ্ট্র ।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন