জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
কমনওয়েলভুক্ত ৫৪টি দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী তিন নারী নেতার একজন নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কমনওয়েলথ মহাসচিব পেট্রেসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসি আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২১ সামনে রেখে করোনাকালে অসাধারণ নারী নেতৃত্ব ও গভীর অনুপ্রেরণাদায়ী হিসেবে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেন, বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলে এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি অনেক নারী এবং মেয়ের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়েছি। এরপরও আমাদের কমনওয়েলথের তিনজন বিস্ময়কর নেতার নাম বলতে চাই-নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেন, বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলে এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যারা করোনাকালে দেশে নিজ নিজ ভূমিকায় অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছেন।’
কমনওয়েলথের মহাসচিব বলেন, ‘অনেক নারীর পাশাপাশি এই তিন নেতা আমাকে এমন একটি বিশ্বের আশা দিয়েছেন যা নারী-পুরুষদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করবে এবং আমাদের সার্বজনীন মঙ্গলের জন্য কাজ করবে।’
শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তার নেওয়া পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হচ্ছে।
এর আগে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি করোনা অতিমারির কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যগত ও আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের গৃহীত ব্যাপক পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের অতীত রেকর্ডের উদাহরণ টেনে মহাসচিব গুতেরেজ বলেন, ‘কোনও ঝুঁকি নিরসনের বৈশ্বিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ সর্বদাই শীর্ষস্থানীয়, তাই কোভিড অতিমারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের এ ধরনের সাফল্য দেখে আমি মোটেও অবাক হইনি।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, বিশেষ করে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তার সুদৃঢ় প্রতিশ্রুতির উচ্চকিত প্রশংসা করেন।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের মার্চের শুরুতে। করোনা মহামারি সারা বিশ্বের অধিকাংশ দেশের জন্য নানা সংকট বয়ে আনলেও তেমন কোনো সমস্যা হয়নি বাংলাদেশের জন্য।
শনাক্তের ১২ তম মাসে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৮৪১ জনের। শনাক্ত সাড়ে পাঁচ লাখ ছুঁইছুঁই। দেশের মোট জনসংখ্যার অনুপাতে মৃত্যু ও শনাক্তের এই সংখ্যা অনেক কম।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন