জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ছুরিকাঘাতে এক সিএনজি অটোরিকশা চালক জলিল মিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় শুক্রবার (৫ মার্চ) রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের বড় ভাই খলিল মিয়া বাদি হয়ে এ মামলা করেন। এ ঘটনায় শনিবার সকালে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার।
জানা যায়, ছুরিকাঘাতে সিএনজি অটো চালক নিহতের ঘটনায় চালকের বড় ভাই খলিল মিয়া বাদি হয়ে সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া সফি ও তার দুই ভাইসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এঘটনায় মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সরেজমিন ঘটনাস্থল শমশেরনগর সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকা পরিদর্শন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে পুলিশ সুপার নিহতের বাড়ি গিয়ে শোক সন্তপ্ত পরিবার সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণে পুলিশি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, নিহত সিএনজি অটোর চালকের বড় ভাই বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫ জনের নামসহ আরও ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা আসামী রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য-বৃহস্পতিবার রাতে সিএননজি ফিলিং স্টেশনে আগে গ্যাস ফিলিং করতে কারের লাইনে চলে যায় সিএনজি অটো চালক জলিল মিয়া। এ নিয়ে গ্যাস নিতে আসা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া শফির সাথে ও তার চালক হামিদ মিয়ার সিএনজি অটো চালক জলিলের তর্কবিতর্ক শুরু হলে এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত হয় সিএনজি চালকের শরীরে।
গুরুতর আহতাবস্থায় জলিল মিয়াকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার বিকেলে মরদেহ আলীনগর গ্রামে পৌছলে রাত সাড়ে ৮টায় জানাজা সম্পন্ন করে জলিল মিয়ার।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন