বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ আজীবন প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। সামাজিক ন্যায়বিচার ও সকল পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কথা বলতেন, লিখতেন।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) নয়াপল্টনে প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ স্মরণে জাতীয় জনতা ফোরাম গৃহীত তিনদিন ব্যাপী কর্মসুচীর প্রথম দিন কোরআন খতম ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ড. এমাউদ্দিন আহমেদ অত্যন্ত বিনয়ী একজন মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন সমগ্র জাতির অভিভাবক। তার চলে যাওয়ায় সকলেই বাকরুদ্ধ। তার চলে যাওয়ায় দেশ ও জাতি একজন পরীক্ষিত, মেধাবী, স্পষ্টবাদী দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীকে হারালো। তার শুন্যতা পুরন হওয়ার নয়। এমাজউদ্দিন আহমেদের মৃত্যু একটি নক্ষত্রের পতন।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, দেশ ও মানুষের মঙ্গল আকাঙ্ক্ষায় নিমগ্ন হয়েছে ড. এমাউদ্দিন আহমেদের তার চিন্তা ও কর্মধারা। মত ও পথের ভিন্নতা আড়াল করেনি মানবিকতা ও ন্যায়ের পথ। আলোকিত মানুষ ছিলেন তিনি। ‘সবার সঙ্গে মিত্রতা, নয় কারও প্রতি শত্রুতা’- এই ছিল তার কর্মধারা। জাতির প্রয়োজনে উদ্যোগ ও উদ্যমে অগ্রসর হয়েছেন স্বকীয় কর্মধারায়, সংযত-সীমিত থেকেছেন নিজ পরিসরে।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হওয়ার সুবাদে গণতন্ত্র, সুশাসন, সমাজ, সংস্কৃতি ও সংকটের কথা বলেছেন। এমাজউদ্দিন আহমেদ। এটি কোনো দলীয় অবয়বে বিচার করা যায় না। এটি ছিল তার দেশপ্রেম, আদর্শ ও নীতিবোধের সাহসী প্রকাশ।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, সংগঠনের সদস্য সচিব ডা. শাকিলুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল আমিন, মাহি আল ফয়সাল, নিবৃাহী সদস্য এডভোকেট মো. সপ্নিল সরকার, ডা. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে আপোষহীন ছিলেন। তিনি উদার-আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেছেন আজীবন। সমাজের বিভক্তি দূর করতে না পারলে বাংলাদেশ রাষ্ট্র নানা দিক থেকে সমস্যায় পড়বে বলে মনে করতেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার বলেন, শিক্ষা এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের সমঝোতা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ তাকে নন্দিত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। তিনি সাধারণভাবে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ কেবল একজন শিক্ষাবিদই ছিলেন না, একাধারে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন