‘ফেক আইডি’র সেই তামিলাকেই বিয়ে করলেন ফুটবলার

  জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক সুন্দরী তরুণীর। প্রোফাইলে তরুণীর ছবি দেখে বিশ্বাসই হয়নি যে এটি তার ছবি। ভাবতেন ফেক আইডি।

এরপর রিকোয়েস্ট গ্রহণ করে ম্যাসেঞ্জারে টুকটাক আলাপন। এভাবেই চলতে থাকে কিছু দিন। প্রথমে বন্ধুত্ব, পরে প্রণয়। এভাবে ছয় বছর প্রেমের পর অবশেষে দুই হাত চার হয় দুজনার।

 

ঘটনাটি কোনো সিনেমা বা নাটকের নয়। জাতীয় দলের মিডফিল্ডার সোহেল রানার জীবনের। ফেক আইডি ভেবে সৌজন্যবোধে চ্যাট করে যাওয়া ওপাশের মানুষটিই আজ তার স্ত্রী। ফুটবলার সোহেল রানার স্ত্রীর নাম তামিলা।

রোববার ছয় বছরের প্রেমের পূর্ণতা দিলেন সোহেল-তামিলা জুটি। এদিন দুপুরে ধানমণ্ডির এক মসজিদে বিয়ের কাজটি সারেন তারা। পরে ধানমণ্ডির এক রেস্তোরাঁয় দুজনের পরিবারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।

একে অপরের সঙ্গে কবে কীভাবে দেখা হয়েছিল? সেই ইতিহাসও সিনেমাটিক। নববধূ তামিলা শোনালেন সেই রোমান্টিক গল্প।

বললেন, আমি ফুটবলপাগল। ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনাল খেলা দেখতে মাঠে যাই। সেদিন ১১ ফুটবলারের মধ্যে সোহেলের খেলা আলাদাভাবে ভালো লেগেছিল। পরে ফেসবুকে খুঁজে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাই। ছয় বছর পর আমি তার স্ত্রী।’

স্মৃতির পাতা ঘেঁটে সোহেল রানা জানান, ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ওই ম্যাচটি ছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ। আমরা মালয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলেছি। ৩–২ গোলে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের।

অবশ্য সেদিন দল হারলেও তামিলার মন জিতে নিয়েছিলেন সোহেল রানা। সেদিন চোখাচোখি না হলেও তামিলার মন ছুঁয়ে দেন সোহেল রানা। পরে এক রেস্তোরাঁয় চোখে চোখ রাখতেই তামিলার প্রেমে পড়েন এই ফুটবলার।

সোহেল বলেন, ‘ওর আইডিকে ফেক মনে হতো আমার। কিন্তু প্রচুর মেসেজ আসায় শেষ পর্যন্ত সাড়া দিই। ও দেখা করতে বলে। ধানমণ্ডির এক রেস্তোরাঁয় প্রথম দেখা করি। প্রথম দিনই ওকে ভালো লেগে যায় আমার।’

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন