প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তে অবস্থতি পাটলাই নদীতে নামে-বেনামে চলছে চাঁদাবাজি। কখনো দেবত্তর স্টেড আবার কখনো ওয়াকফ স্টেড আবার কখানো খাস কালেকশনসহ বিআইডবিøউটির নামে দল বেঁধে উঠানো হচ্ছে চাঁদা। চাঁদাবাজদের কথা মতো চাঁদার টাকা না দিলে মারধর করাসহ আটক করে রাখা হয় নৌকা। আর এই চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করে পাটলাই নদীতে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ না করা পর্যন্ত অনির্দিষ্ট কালের জন্য নৌযান ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে নৌ- শ্রমিকরা। আজ বুধবার (১০ই মার্চ) দুপুরে চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য নৌযান ধর্মঘটের ডাক দিয়ে নৌযান সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি পঙ্কজ তালুকদার তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এব্যাপারে নৌশ্রমিকরা জানায়- জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাগলী, বড়ছড়া ও চাঁরাগাঁও শুল্কস্টেশনের দিয়ে ভারত থেকে আমদানীকৃত কয়লা ও চুনাপাথর নৌকা বোঝাই করে পাটলাই নদীপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহণ করা হয়ে থাকে। গতকাল মঙ্গলবার (৯ই মার্চ) সকাল ৯টায় পাটলাই নদীর হাটখলা বাজারের সামনে কয়লা ও চুনাপাথর বোঝাই প্রায় ২শতাধিক নৌকা আটক করে সুনামগঞ্জ হাজীপাড়ার এলাকার জাপ্পু মিয়া, তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের নয়াবন্দ গ্রামের শাসছু মিয়ার ছেলে রিফাত আহমদ, একই ইউনিয়নের মন্দিআতা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আজিজুল ইসলাম, সাজিনুর মিয়ার ছেলে জিলানী মিয়া, নুর উদ্দিনের ছেলে আলীনুর ও আব্দুল হক গং। তারা প্রতি নৌকা থেকে ১ থেকে ৩হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদাবাজদের কথা মতো চাঁদা না দেওয়ার কারণে কয়েকজন শ্রমিককে মারধর করে কয়লা ও চুনাপাথর বোঝাই নৌকাগুলো আটক করে রাখা হয়। এঘটনার প্রেক্ষিতে নৌশ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেয়। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ মালবাহী নৌযান শ্রমিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী বলেন- পাটলাই নদী পথে মালামাল পরিবহণ করতে গিয়ে সব সময় চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। কিন্তু প্রশাসন এব্যাপারে কখনোই জোড়ালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়না। তাই বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা ধর্মঘট করছে। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ সাংবাদিকদের বলেন- এব্যাপারে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের শুকনো রাস্তায় চলছে চাঁদাবাজি। আর এই চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য ভোক্তভোগী এলাকাবাসী গত ২৩শে ফেব্রæয়ারি তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও টোলটেক্সের নামে চাঁদাবাজি আজ পর্যন্ত বন্ধ হয়নি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন