প্রগতিশীল, জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম নায়ক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)'র সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র মন্ত্রী জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ১২ মার্চ, ২০২১।
বহুমাত্রিক প্রতিভার এই মানুষ ১৯২৪ সালের ৯ জুলাই তৎকালীন রংপুর জেলা আজকের নীলফামারী জেলার ডিমলার খগাখড়িবাড়ীর সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ওসমান গনি ও মা আবিউননেছা। ১৯৭৯ সালের ১২ মার্চ জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে যাদু মিয়া ইন্তেকাল করেন। ৪০-শেষের দিকে তিনি ইয়াং ম্যান অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তানের পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান ছিলেন। তিনি ৫০ দশকের শেষ দিকে রংপুর জেলা বোর্ডের কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
৬০-এর দশকের শেষের দিকে মশিউর রহমান যাদু মিয়া ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ও আইয়ুব বিরোধী ১১ দফা আন্দোলনে তিনি জাতীয় পরিষদের ভেতরে ও বাইরে সোচ্চার দাবি উপস্থাপন করেন এবং আন্দোলনের পে মওলানা ভাসানীর আহ্বানে জাতীয় পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৬৯ সালে লায়েলপুরে কৃষক সম্মেলনে ইয়াহিয়া খানকে গাদ্দার বলার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৭৭ সালে প্রগতিশীল, দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী শক্তির সমন্বয়ে প্রথমে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট ও পরে জাতীয়তাবাদী দল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন।
মওলানা ভাসানীর মৃত্যুর পর ন্যাপের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় সিনিয়র মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় তিনি ন্যাপ'র চেয়ারম্যান হিসাবে দলের প্রতীক 'ধাণের শীষ' জিয়াউর রহমান তথা বিএনপিকে প্রদান করেন। যদিও সেই বিএনপি আজ আর সেই প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতীক দানকারীকে মনে করে না।
কর্মসূচি :
বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর, নীলফামারী (ডোমার-ডিমলা), রংপুর, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় মরহুম যাদু মিয়া স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করেছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন