প্রথম অধিবেশনে যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাহমুদ উস সামাদ

 জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) এক শোকবার্তায় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মুজিব আদর্শের একজন একনিষ্ঠ সৈনিক ছিলেন। তিনি সারা জীবন সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সরব ভূমিকা পালন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে তিনি ২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ‘যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ’ শীর্ষক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী উত্থাপিত সেই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হওয়ার মাধ্যমেই মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হয় এবং বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ সাম্প্রদায়িক ও দেশবিরোধী শক্তিকে শাস্তির আওতায় আনার সুযোগ উন্মুক্ত হয়।’

 

মেয়র তাপস আরো বলেন, ‘নিজ এলাকার জনগণকে তিনি (মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী) নিজের সন্তানের মতো আগলে রাখতেন, ভালোবাসতেন। তিনি তাঁর বিপুল অর্থ-বিত্ত সবসময়ই মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছেন।’

নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে তার কর্মোদ্যম অনন্য উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘তিনি (মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী) শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মতো সংগঠনের মহাসচিব হিসেবে গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং সার্বিকভাবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের মাঝেই তিনি অমর হয়ে থাকবেন।’

শোকবার্তায় ডিএসসিসি মেয়র মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কায়েস বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কায়েস সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ছিলেন।

যুক্তরাজ্যের বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক টিভি ‘চ্যানেল এস’-এর চেয়ারম্যান ছিলেন মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কায়েস। সাত ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ষষ্ঠ।

এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মরদেহ শুক্রবার বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারে করে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে এসে পৌঁছাবে। পরে মরদেহ তার বাড়িতে রাখা হবে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকেল ৫টায় উপজেলার কাসিম আলী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা হবে। শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন