বিক্ষোভে তিন শতাধিক নিহত, ব্রিটেন-যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

 জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা তিনশ’ ছাড়িয়েছে। গত বৃহস্পতিবারই এ তালিকায় যোগ হয়েছেন অন্তত নয়জন। এসবের জেরে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। খবর রয়টার্সের।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খবর অনুসারে, বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন, মধ্যাঞ্চলীয় মনোয়াসহ আরো কয়েকটি শহরের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। এর মধ্যে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় তাউঙ্গি শহরেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে অন্তত চার বিক্ষোভকারীকে।

 

হিনথার মিডিয়া করপোরেশন জানিয়েছে, পুলিশ মওলামাইন শহরে বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি চালিয়েছে এবং অন্তত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গুলিতে অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন।

অন্য গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুসারে, নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়লে অন্তত পাঁচজন জখম হয়েছেন। অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারসের তথ্যমতে, মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অন্তত ৩২০ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে, মায়ানমা ইকোনমিক পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড এবং মিয়ানমার ইকোনমিক করপোরেশন লিমিটেডের ওপর ব্যবসায়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ।

এ নিষেধাজ্ঞার ফলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান দুটির যুক্তরাষ্ট্রে থাকা যেকোনও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বা ব্যবসায়িক লেনদেন রাখতে পারবে না।

এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী, সেনাবাহিনীর অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং সামরিক বাহিনীর বর্বরোচিত দমন-পীড়নে সমর্থনকারীদের অর্থপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি মায়ানমা ইকোনমিক পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে যুক্তরাজ্যও। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মানবাধিকারলঙ্ঘন এবং জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিকি রাব বলেছেন, এধরনের নিষেধাজ্ঞায় মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর গণনিপীড়নে ব্যবহৃত অর্থের উৎসে টান পড়বে।

এর আগে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িত বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। অবশ্য তারও আগে থেকেই মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের কালোতালিকাভুক্ত। গত সোমবার মিয়ানমার সেনাসংশ্লিষ্ট ১১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও।


মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন