ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার রায়ে প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দার প্রতিক্রিয়া

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ঐতিহাসিক এই রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে অভিযুক্ত ব্রেন্টন ট্যারান্টকে প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। দেশটির ইতিহাসে প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।

গত বছর দু’টি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যা, ৪০ জনকে হত্যাচেষ্টা ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ ছিল। এসব অভিযোগ স্বীকার করে নেন টারান্ট।

 

এদিকে সাদা শ্রেষ্ঠত্ববাদী ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে যাবজ্জীবন সাজার রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডান। তিনি বলেন, তার আজীবন সম্পূর্ণ ও একদম নীরবতা প্রাপ্য।

জাসিন্দা বলেন, ১৫ মার্চের যন্ত্রণা সহজেই নিরাময়যোগ্য না। কিন্তু আজ, আমার প্রত্যাশা, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা সন্ত্রাসীদের নাম উচ্চারণ কিংবা শোনার কোনো অজুহাত আমাদের থাকার দরকার নেই।

২০১৯ সালের ১৫ মার্চে ক্রাইস্টচার্চের আল নূর ও লিনউড মসজিদে নামাজ পড়া অবস্থায় গুলি করে ৫১ জন মুসলমানকে হত্যা করা অস্ট্রেলিয়ান শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ব্রেন্টন ট্যারান্টকে গত রোববার (২৩ আগস্ট) আদালতে আনা হয়। ওই হামলায় বেঁচে যাওয়া ও নিহতদের পরিবারের স্বাক্ষ্য দিয়ে সোমবার শুরু হয়েছিল চারদিনের শুনানি।

ওই হত্যাযজ্ঞের কারণে আজীবনের জন্য কারাদণ্ড যে হতে যাচ্ছে ট্যারান্টের তা ছিল নিশ্চিত ছিল। তবে স্বাক্ষ্য দিতে আসা প্রত্যেকের দাবি ছিল যেন কোনোদিন আলোর মুখ দেখতে না পান এই অপরাধী। হলোও তাই।

নিউ সাউথ ওয়েলসের ২৯ বছর বয়সী বাসিন্দা ট্যারান্ট এর আগে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন এবং পরে আত্মপক্ষ সমর্থনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। শুনানিতে ৬০ জনের বেশি লোক সশরীরে স্বাক্ষ্য দেন। তাদের কেউ বিদেশ থেকে এসেছেন এবং দুই সপ্তাহের করোনাভাইরাস কোয়ারেন্টাইনে থেকেছেন।

শরীর চর্চার প্রশিক্ষক ট্যারেন্ট অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ডে যান ২০১৭ সালে। এরপর অস্ত্র সংগ্রহ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ যার বাস্তবায়ন ঘটে।

তার স্বজনদের সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, তার বয়স যখন কুড়ি, তখন বাবার উত্তরাধিকার সূত্রে ইউরোপ ভ্রমণের সময় সে উগ্রপন্থার সংস্পর্শে আসে। আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে পরিচয় ঘটে তার।

মসজিদে হামলার আগে অনলাইনে প্রকাশ করা এক ইশতেহারে মুসলমান ও অ-ইউরোপীয় অভিবাসীদের প্রতি তার ঘৃণার কথা জানায়। ‘ব্যাপক প্রতিস্থাপন তত্ত্বের’ প্রতি তার বিশ্বাসের কথাও প্রকাশ করেছে।

এই তত্ত্বের মতে, শ্বেতাঙ্গদের জন্মহার কমে যাওয়ার কারণে অশ্বেতাঙ্গরা সেই জায়গা দখল করে নেবে। তার ইশতেহার ও হত্যার ভিডিও নিউজিল্যান্ডে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন