জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুদি বাংলাদেশে আশাকে কেন্দ্র করে হেফাজতের কর্মীরা হাটহাজারী থানায় হামলা ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া আওয়ামীলীগ অফিসে আগুন দিয়ে যে তান্ডব চালিয়েছে তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। আমাদের স্বাধীনতার সময় ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগীতা করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসতেই পারেন। এটা স্বাভাবিক। এতে কাদের গায়ে জ্বলে আমরা বুঝেছি।
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের আয়োজনে মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপরের কথা গুলো বলেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষ চেয়েছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শেখ মুজিব হত্যার বিচার হবে। ঠিকই আমরা করতে পেরেছি। জিয়া, খালেদা, নিজামী ও সাঈদীরও বিচার হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ২০০৯ সালে সরকার পতনের জন্য বিডিআরদের হত্যা করা হয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় শাপলা চত্বর থেকে সরকার উৎখাত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগের মফস্বলে পরীক্ষিত নেতাদের অগ্রাধিকার দিয়ে দলকে পূনর্গটিত করার আহ্বান জানান। কোনো পরিস্থিতির জন্য আমরা চিন্তিত নয়। মোকাবেলা করতে সর্বদা প্রস্তুত।
তিনি হেফাজত কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, যারা গত শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদে পকেটে তাশবীর পরিবর্তে ইট ও পাথর নিয়ে ছিল তারা ইসলামের হেফাজতকারী হতে পারেনা। তাদেরকে আর মসজিদের টুকতে দেয়া হবে না।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মৌলভীবাজা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোঃ জাকারিয়া, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন প্রমুখ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী খোদেজা খাতুন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মহিলাদের সেলাই মেশিন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র ও ৭ উপজেলায় ৭জন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ঘরের দলিল প্রদান করা হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন