নজরুল ইসলাম ll
একজন ভালো মানুষকে কিভাবে সংজ্ঞিত করবেন? প্রশ্নটি যত সহজ বলে মনে হয়, উত্তর তত সহজ নয়। এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমাদের জানা প্রয়োজন যে, একজন প্রকৃত মানুষ হতে হলে তার কী কী বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন। বিনয় শিক্ষা, মানবতা বোধ, অন্যকে সাহায্য না করতে পারলেও অন্যের ক্ষতির চেষ্টা না করা- এসব বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন কাউকে “ভালো মানুষ” আখ্যায়িত করা যায়।
আরও কিছু বিশদ বললে, যে মানুষ কখনোই কারো ক্ষতি করে না, যার মধ্যে কোন অহংকার নেই, যে পরোপকারী, যার মধ্যে আছে ঈশ্বর প্রকৃতি এবং মানুষের জন্য অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা, যে মানুষ নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, যে মানুষ কখনোই অন্যকে ধনী গরীব শিক্ষিত -অশিক্ষিতের মানদণ্ডে বিচার করেন না, এমন সব বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন কাউকে “ভালো মানুষ” আখ্যায়িত করা যায়।
বর্তমান সমাজে মানুষ হয়ে উঠেছে আত্মকেন্দ্রিক। সর্বদাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। নিজের বৈষয়িক চিন্তায় এতই মগ্ন যে, অন্যের সুখ-দুঃখ নিয়ে চিন্তা করার সময় তাদের থাকে না। মানুষের এমন স্বার্থান্বেষী চিন্তাধারার জন্য মানুষ তার প্রকৃত রূপ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। নিজেকে প্রকৃত মানুষরূপে গড়ে তুলতে হলে সর্বপ্রথম নিজের অন্তর্নিহিত মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করতে হবে, জাগ্রত করতে হবে অন্তরচেতনাকে। প্রকৃত মানুষ হতে হলে আমাদের চাই পরস্পরের প্রতি অন্তরের স্নেহ ভালোবাসা করুণা স্বার্থপরতাহীনতা।
আমাদের মুরুব্বী, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা সজ্জন পরোপকারী নিঃস্বার্থ আব্দুর রহিম এমনই একজন ব্যক্তিত্ব। আজ তাকে নিয়ে একটু লিখবো পায়তার করছি। ভাবছি, কোথায় থেকে শুরু করি আর কোথায় শেয করি। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম স্বপরিবারে লন্ডনে বসবাস করেন। লন্ডনের সব চাইতে ধনাঢ্য বারায় তিনি বসবাস করেন। তিনি কতটা ধনাঢ্য সেটা আমার কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়, তবে মনের দিক থেকে তিনি একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি সে ব্যাপারে আমি সন্দিহান নই। লন্ডনের (Royal Borough of Kensington and Chelsea) চেলসির পাশ বেয়ে টেমস নদী, নদীর পাশে বিশ্বের একটি নামী দামী ক্যান্সার স্পেশালিস্ট হাসপাতালে আমি কাজ করি। মাঝে মধ্যে আব্দুর রহিম সাহেবকে ফোন দিয়ে কফি পানের নিমন্ত্রন করি। তিনি আসেন, আমরা এক সাথে কফি পান করি। আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করেন নামাজ পড়েছি কি? তিনি বলেন- “চেষ্টা করবা সময়মত নামাজটা সেরে নেওয়ার। মনে রাখবা- দুনিয়া একদিকে আর নামাজ একদিকে। নামাজের ব্যপারে কোন আপোয নেই।” আমরা একই সাথে বিলেতে কমিউনিটি কাজ করি। প্রায়ই দেখেছি মিটিং চলাকালীন তিনি নিরবে বের হয়ে যান জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য। তাঁর এমন ক্রিয়া আমাকে ভাবায়, -এই বয়সে আমরা বড্ড অলস হয়ে পড়েছি।
পার্থিব দুনিয়ায় আল্লাহতায়ালা তার প্রিয় বান্দাদের যেসব ভালো গুণ অবলম্বনের যোগ্যতা দিয়েছেন- দানশীলতা তার অন্যতম। এটি বান্দার মহৎ গুণাবলীর মধ্যে একটি। এ গুণটি মানুষ ও আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের অন্যতম পন্থা। দানশীল ব্যক্তিকে সবাই ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে। এটি বান্দার প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ নেয়ামত। ধনদৌলতের প্রকৃত মালিক আল্লাহ। তিনি তা তার বান্দাদের সাময়িক ভোগের জন্য দিয়েছেন। ধনদৌলত মানুষের জীবনধারণের অবলম্বন মাত্র। এ পৃথিবীতে মানুষের জীবন ধনদৌলত সবই ক্ষণস্থায়ী। আল্লাহ তায়ালা তার বান্দার মন পরীক্ষার জন্য সম্পদ দিয়ে থাকেন। বলা হয়, ‘দানে বাড়ে ধন, যদি থাকে মন। ধন থাকলেই দান করা যায় না। দান করতে হলে মন থাকা চাই। তাই প্রবাদে বলা হয়, ‘আল্লাহ দিয়া ধন বুঝে মন, কাইড়া নিতে কতক্ষণ। তাই ইসলামের শিক্ষা হলো- দান করতে হবে মন উজাড় করে।
সমাজের বিত্তবানরা জনহিতকর কাজ যেমন মক্তব মসজিদ মাদরাসা নির্মাণ, বিদ্যালয় স্থাপন, লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা, বিশ্রামাগার, অজু-গোসলখানা সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, বিপন্ন মানুষকে আশ্রয় প্রদান, হতদরিদ্র, পথশিশু,পঙ্গু, অন্ধ, অক্ষম এবং অসহায় লোকের পুনর্বাসন, অন্ন-বস্ত্র- বাসস্থানের ব্যবস্থা করা ইত্যাকার হিতকর কাজ করতে পারেন। যাকে নিয়ে লিখছি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম এ কাজগুলো করে যাচ্ছেন নিরবে নিভৃতে। সামর্থ অনুযায়ী সমাজের কল্যাণ- মঙ্গল নিহিত কাজে তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে স্বাছন্দবোধ করেন। আমরা একসাথে বিলেতে থেকে দেশের মানুষের জন্য উল্লিখিত কাজগুলো করে আত্মতৃপ্তি পাই। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ভাল কাজে উৎসাহ দেন, উৎসাহিত করেন, প্রচার বিমুখ না।
অনেক গুলো ঘটনার মধ্যে একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। আমার (সদ্য প্রয়াত) পিতা আব্দুন নুর মাস্টার মহোদয় ও মাতা নুরজাহান চৌধুরীর নামে আমাদের এলাকার সকল স্তরের লোকজন মনের গহীন থেকে তাদের সম্মানার্থে একটি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। নাম দিয়েছেন “আব্দুন নুর নুরজাহান চৌধুরী হাই স্কুল।” সামাজিক মাধ্যমে স্কুলের কার্যক্রম প্রায়ই আসে। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম আমাকে ফোন দিয়ে এলাকার মানুষের ভূয়সী প্রশংসা করলেন। বললেন, তোমাদের এলাকার মানুযের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ আছে। বললেন, আমি তোমাদের স্কুল ভিজিট করবো। বললেন, তোমার পিতার এমন চমৎকার উদ্যোগ সমাজের শিক্ষা বঞ্চিত, শিক্ষা থেকে মুকুলে ঝরে পড়া ছাত্রদের শিক্ষিত করতে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে। বললেন, আমি তোমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমার অবস্থান থেকে সাহায্য করতে চাই। আমি মনে মনে ভাবলাম ভাল কাজ ও শিক্ষার প্রতি দরদ না থাকলে একজন মানুষের এভাবে এগিয়ে আসার কথা নয়।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম দেশে গিয়ে আমাদের স্কুল ভিজিট করলেন। স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের নামাজের ব্যবস্থা করে দিতে চান। আমার পিতা তাঁকে স্কুলের দাতা সদস্যের প্রস্তাব দিলেন, প্রস্তাব গৃহিত হল। তিনি আব্দুন নুর নুরজাহান চৌধুরী হাই স্কুলের সম্মানিত দাতা সদস্য। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম বললেন, আমার নাম কিন্তু লিখতে পারবেন না। আমার প্রয়াত পিতা বললেন, নামে কিছু আসে যায় না, যে কারণে আমরা আপনার নামটি বড় অক্ষরে লিখবো- যদি কোন দিন ভুলে রাস্তা হারিয়ে আপনার নাতি নাতিন এই স্কুলে আসেন, তখন তারা দেখবেন তাদের দাদার নামে এখানে একটি বিল্ডিং। তারা তখন বলতে পারবে আমাদের দাদা শিক্ষানুরাগী ছিলেন। আব্দুর রহিম সাহেবকে স্টেজে রেখে বক্তব্য দিতে গিয়ে তাঁকে পয়েন্ট করে আমার প্রয়াত পিতা বলেছিলেন “ফুল ফুটে ঝরে যায় দুনিয়ার রীতি, মানুষ মরে যায় রেখে যায় স্মৃতি।”
আমার পিতা বলেছিলেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে আপনার এমন এগিয়ে আসাকে আমারা কৃতজ্ঞতাচিত্তে স্মরণ করছি। স্কুল ও আমার পিতাকে নিয়ে আব্দুর রহিম অনেক কিছু পরিকল্পনা করেছিলেন। আমার পিতা আকস্মিক আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন, কিছুই নিয়ে যাননি। রেখে গেছেন তাঁর কর্মযজ্ঞ, দেশপ্রেম, শিক্ষার মানউন্নয়নে করে যাওয়া কাজ-যা তাঁকে অমর করে রাখবে একটি ছোট পরিসরে আজীবন। সেই পথেই হাঁটছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম।
ভবিষ্যতের আদর্শ সমাজ গড়ে তুলতে সদ্যোজাত শিশুই আমাদের আগামী দিনের দিশারী। তাদের উপযুক্ত ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষিত করে তুলতে পারলে এ কলুষিত জগৎ একটি নির্মল স্বাস্থ্যবান জগতে পরিণত হবে। আর এ প্রজন্মকে উপযুক্ত দিশা দেওয়ার জন্য বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্কদের উপযুক্ত ভূমিকা নিতে হবে। যাকে নিয়ে লিখছি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম এ কাজগুলো করেন অত্যন্ত নীরবে। তাঁর এমন জনহিতকর কাজ আমাদের উৎসাহিত করে।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিমের যৌবন কৈশোর ছিল দেশপ্রেম পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত করার চিন্তা ধ্যান কৌশল। ‘যুদ্ধ’ শব্দটি শুনতে এক ধরনের ভয়-ভীতি ও ধ্বংসযজ্ঞের আতঙ্ক ছড়ায়। কিন্তু ‘মুক্তি’ শব্দটি যুক্ত হয়ে যখন এটি মুক্তিযুদ্ধ পরিচয়ে তা উচ্চারিত হয় তখন এর মধ্যে নতুন ব্যঞ্জনা ছড়ায়, দেশপ্রেম, জনগণের শৌর্য-বীর্যের অহংকারের কথা বলে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীন একটি রাষ্ট্র লাভের জন্যে ঘর ছেড়েছিল, পরদেশে আশ্রয় নিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে নিজের ভূখণ্ডকে শত্রুমুক্ত করতে প্রাণপণ যুদ্ধ করেছেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে কমলগঞ্জের শমসেরনগর ইতিহাসের পাতায় স্থান করে থাকবে। ১৯৭১ সালে রক্তাক্ত হয়েছে এই জনপদ। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান আব্দুর রহিম মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরের এক বীরপুরুষ। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করতে তিনির ভুমিকা প্রসংশনীয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নেই এম এ রহিম অসীম সাহসী একটি ঘটনার মাধ্যমে শমসেরনগর তথা মৌলভীবাজারের আপামর জনগণের হৃদয়ের মনিকোঠায় নিজের অবস্থানটি করে নেন।
১৯৭১ সালের ৫ই মার্চ বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার একটি মিছিল শমশেরনগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌমুহনীতে অবস্থান নেয়। কাছেই পুলিশ ফাঁড়ি। অসীম সাহসী এম এ রহিম, নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ, সৈয়দ নাজমুল ইসলাম লুকু এবং সৈয়দ জসিম উদ্দিন অকস্মাৎ ফাঁড়ির চৌহদ্দিতে প্রবেশ করে পাকিস্তানী পতাকা নামিয়ে এনে আগুনে পুড়িয়ে দেন এবং সেখানে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। সংগ্রামী জনতার বিপুল সমাবেশের কারণে পুলিশ কোন বাঁধা দেয়নি। এই বিরল ঘটনা মুহূর্তে গোটা পাকিস্তানে সংবাদ শিরোনাম হয়, চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় সর্বত্র। ৬ই মার্চ এম এ রহিম ও নারায়ণকে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। খবরটি জানাজানি হলে উত্তাল হয়ে উঠে শমসেরনগর তথা গোটা কমলগঞ্জ। বিস্ফোরোন্মুখ পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের স্থানান্তর করা হয় মৌলভীবাজার থানা হাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রেরণ করা হয় জেল হাজতে। এতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয় উত্তাল হয়ে উঠে সমগ্র মৌলভীবাজার।
এম এ রহিম কমলগঞ্জের মনোমুগ্ধকর সবুজঘেরা ছায়ায় ধলাই লাঘাটার কলধ্বনি শুনে বেড়ে উঠা মরহুম মোহাম্মদ খলিলুর রহমানের পুত্র। জন্ম শমসেরনগরে ১৯৫২ সালের ডিসেম্বরে। শিক্ষা শুরু শমশেরনগরের রামচিজ রাম প্রাইমারী স্কুল। শমসেরনগর এ এ টি এম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক শেযে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ এবং সর্বশেষ মৌলভীবাজার সরকারী কলেজে অধ্যয়ন করেন। ছাত্রাবস্থায়ই এম এ রহিম প্রগতিশীল ছাত্র সংঠন ছাত্র ইউনিয়নের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন।
যুক্তরাজ্যে সামাজিক রাজনৈতিক কমলগঞ্জের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সাথেই জড়িত আছেন। তিনি “আব্দুন নুর নুরজাহান চৌধুরী হাই স্কুল” -এর সম্মানিত দাতা সদস্য। ২০০৯ সালে লন্ডনের ক্যামডেন বারা কাউন্সিল মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার হিসাবে তাকে সংবর্ধিত করে। ২০০৩ সালে শমসেরনগর প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন সংস্থা, ২০০৯ সালে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ও ২০১৭ সালে কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় সমর সৈনিক এম এ রহিম সংবর্ধিত হন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত বিনয়ী পরোপকারী ও ধার্মিক। তিনি একজন সফল ব্যক্তি, সফল পিতা। তার ছেলে মেয়েরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। দেশপ্রেম, মানবপ্রেম, সমাজ উন্নয়ন, মসজিদ মাদ্রাসা ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে তিনি কাজ করে যাবেন আমৃত্য সেই প্রত্যাশা আব্দুর রহিমের কাছে রেখেই শেষ করছি।
লেখক: নজরুল ইসলাম,
ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট, ওয়ার্কিং ফর ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস (NHS) লন্ডন, মেম্বার, দি ন্যাশনাল অটিস্টিক সোসাইটি ইউনাইটেড কিংডম
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন