জিবি নিউজ ডেস্ক ।।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই, বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২ টায় ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এ ঘোষণা দেন। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
এসময় তিনি বলেন, আমি সব অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলে এখন সবার কাছে খারাপ হয়ে গেছি। যে দলে সম্মান নাই সেখানে আমি থাকবো না। আমি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়েছি সেখানে থেকেই কাজ করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি একসাথে না পারলেও আস্তে আস্তে দলের দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরুন। যারা বেশি অনিয়মকারী তাদেরকে দল থেকে বের করে দিন।
তিনি আরো বলেন, দিনের বেলা আলাদা রাজনীতি করলেও রাতের বেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি মিলে হোটেলে একসাথ হয়ে যায়। এরা জাতীয় অপকর্ম পার্টি গঠন করেছে। ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশে তিনি বলেন, তিনি পদপদবীর জন্য অপশক্তিদের কাছে মাথা নত করেছেন।
এর আগে রবিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘আমার নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা আমার সঙ্গে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে চায় তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।’ কাদের মির্জা নিজেকে ‘ডিসি’ পদমর্যাদার লোক দাবি করে বলেন, ‘একজন পুলিশ অফিসার আমাকে চরমভাবে অপমান করেছে। এটা কি মেনে নেয়া যায়? এ অপমানের যদি বিচার করা না হয় আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিনকে সব অপকর্মের হোতা দাবি করে কাদের মির্জা বলেন, ‘গত কয়েকদিন এখানে পরিবেশ শান্ত ছিল। এ লোক এসে আবার অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু করেছেন। আমার প্রতিপক্ষ বাদল, রাহাত, মঞ্জু, আরিফদেরকে দিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন।’
তিনি আরও বলে, ‘ওদের সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও, ওসি, ওসি-তদন্ত জড়িত। যাদের অনিয়মের কথা বলায় এখন আমি খারাপ। পুলিশ এখানে তাণ্ডব চালাচ্ছে। ওসি, ওসি-তদন্ত বলেছে মির্জার সঙ্গে যেন কেউ না থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ওবায়দুল কাদের ও তার স্ত্রী এসব করাচ্ছে। আজকে কোথায় মানবাধিকার সংস্থা, সরকারতো আগেই নাই।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘গরীবদের জন্য ৬৫টি সেলাই মেশিন দিতে এনেছিলাম। পুলিশ সেটাও দিতে দেয়নি। আজকে (রোববার) ৫ জন করোনা যোদ্ধাকে সম্মাননা দিতে চেয়েছিলাম। পুলিশ সেটাও করতে দেয়নি।’
প্রতিপক্ষ বাদলের গ্রেফতারকে আইওয়াশ দাবি করে কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি এসব আইওয়াশ। তাই বাদলের গ্রেফতারের দিন আমার কর্মীদেরকে আনন্দ করতে দেইনি। এখন বাদল জামিনে এসে আমার নেতাকর্মীদেরকে অস্ত্রের ভয় দেখায়, থানায় বসে মিটিং করে।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন