জিবি নিউজ ডেস্ক ।।
ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের এক তৃতীয়াংশই পরবর্তী চার মাসের মধ্যে আবারও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসকরা দেখেছেন একই সময়ের মধ্যে প্রতি আট জন রোগীর মধ্যে একজন মারা গেছেন। কোভিড-১৯ এর এই দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের কারণে চিকিৎসকরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পর্যবেক্ষণে রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কোভিড-১৯ মূলত শ্বাসতন্ত্রের রোগ হিসেবে পরিচিত হলেও এই ভাইরাস মানুষের অন্যান্য অঙ্গ যেমন হার্ট, কিডনি ও লিভারে সংক্রমণ ঘটাতে এবং ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অব লেইসেসটারের গবেষকরা প্রায় ৪৮ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগীর রেকর্ড তুলনা করে দেখেছেন। গত বছরের ৩১ আগস্টের মধ্যে এসব রোগী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। এসব রোগীদের সঙ্গে সাদৃশ্য থাকা সাধারণ জনগোষ্ঠীর মানুষের রেকর্ডের তুলনা করে দেখেছেন গবেষকরা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রায় এক তৃতীয়াংশ করোনা রোগী হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার ১৪০ দিনের মধ্যে আবারও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর প্রতি আট জনের মধ্যে এক জন মারা গেছেন। সাধারণ জনগোষ্ঠীর মানুষের চেয়ে এই হার অনেক বেশি।
ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব হেলফ ইনফরমেটিকস-এর ড. অমিতাভ ব্যানার্জি বলেন, ‘এটা একটা উদ্বেগ আর আমাদের এটি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া দরকার।’ তিনি বলেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত দেখেছি যে এটা কেবল সাধারণ অসুস্থতা নয়। আমাদের করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীদের পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে যাতে করে কোনও অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হলে তা আগেই শনাক্ত করা যায়।’
গবেষকরা দেখেছেন, আগে থেকেই হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস এবং শ্বাসকষ্টের রোগ থাকা মানুষেরা করোনা সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকিতে বেশি থাকেন। এই ভাইরাস সংক্রমণের কারণেও এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। অমিতাভ ব্যানার্জি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ভাবতে অভ্যস্ত যে হার্টের অসুখ, কিডনির অসুখ এবং ডায়াবেটিস কোভিড রোগীদের জন্য রিস্ক ফ্যাক্টর কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এই জটিলতাগুলো কোভিডের কারণেও হতে পারে।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন