বিশ্বব্যাপী ২৫০ মিলিয়ন বাঙালির পরিচিত এক সুন্দর নাম ডাঃজোবাইদা রহমান

মোঃ আলম হোসেন বেলজিয়াম 

জোবাইদা খান- ডাঃ জোবাইদা রহমান, এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী ২৫০ মিলিয়ন বাঙালির পরিচিত এক সুন্দর নাম। কেননা একজন ডাক্তার জোবাইদা রহমান যতোটা-না পরিচিত, ঠিক ততোটাই কোন কোন ক্ষেত্রে তারও চেয়ে বেশী আলোচিত। কেননা কেবল একজন গৃহিনী, একজন মা, একজন ডাক্তারই নন, তিনি বাংলাদেশের সব চাইতে সম্ভাবনাময় আলোচিত এক তরুণ জাতীয়তাবাদী নেতা, আগামীর বাংলাদেশের সুন্দরের স্বপ্নদ্রষ্টা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান 

তারেক রহমানের স্ত্রী। এ হিসেবে বলা যায় জোবাইদা রহমান রাজনীতিক ঘরানার সুযোগ্য আলোচিত মহীয়সী।এই কারণে, জোবাইদার স্বামী যেমন একজন রাজনীতিবিদ, একই সাথে তার শ্বাশুড়ি তিন তিন বারের বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের সব চাইতে বড় বিরোধীদলের নেত্রী। তারও চাইতে আরো বড় যে পরিচয় সকল কিছুকেই ছাড়িয়ে যায়, যা জোবাইদার নামের সাথে আষ্ঠে-পৃষ্ঠে মিশে আছে, করেছে এক বিশেষ আলংকারিক কাব্যময়, যেন কোন রূপ কথার গল্পকেও হার মানায়, অথচ আকাশের জ্বলে থাকা তারার ন্যায় অমাবশ্যার রাতে যে আলো পথের নিশানা দেখায় প্রতিনিয়ত, বাঙালির কোটি হ্নদয়ে যে নামটি আলোড়িত হয় রিনি ঝিনি বাজে আর এক বুক ভরা নিঃশ্বাস আর বিশ্বাসে বাঙালি জেগে উঠে প্রতিনিয়ত- সেই প্রিয় নাম প্রিয় ভালোবাসা- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পুত্র বঁধু আজকের এই জোবাইদা রহমান। এতো কিছু বিশেষায়িত থাকা অবস্থায় একজন জোবাইদাকে যে নামের বিনিময়ে আরো উপরে এবং বিশেষ এক মর্যাদায় নিয়ে যায়- সেই নাম, যা জোবাইদার আত্মার অন্তঃস্থল থেকে উৎসারিত পবিত্র আব্বা নামের অমিয় এক বাণী সুধা বয়ে চলে সতত, তিনি হলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর গর্বিত এক সেনানী, অধিনায়ক মরহুম রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খানের সুযোগ্যা কন্যা। এহেন একজন ডাক্তার আলোচনায় থাকবেন, অনেক অপরাধী আর পাপীদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠার কারণ হবেন সেটাই স্বাভাবিক।

 

কিন্তু বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র-যন্ত্রের সকল স্বাভাবিক অস্বাভাবিক বিষয়গুলোকে সযত্নে দুরে ঠেলে দিয়ে একজন ডাক্তার জোবাইদা কখনো নিজেকে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসেননি, ইচ্ছে করেই নয় শুধু পিতা ও শ্বশুরের বিনম্র ভালোবাসা আর ব্যবহার আত্মস্থ করার এক দুর্লভ শক্তির ও বৈশিষ্ট্যের কারণে। যদি তা না হতো নিজ শ্বাশুড়ি কিংবা নিজ বাবার সুনামের ও তকমার ব্যবহারে স্বাভাবিক বাঙালিমনস্কা ন্যায় ব্যবহার করে নিজেকে প্রকাশের বিন্দুমাত্র অবহেলা অন্যদের ন্যায় করতেন। কিন্তু করেননি, কেননা ঐ দুর্লভ নির্মোহ এক সনাতনী পিতৃ প্রদত্ত বৈশিষ্ট্য নিজের রক্তে আর ধমনীতে বয়ে বেড়ান বলেই।যার শ্রেষ্ঠ প্রমাণ বিগত জোট সরকারের পাঁচ পাঁচটি বছর । এমনকি তারও আগে নিজ শ্বাশুড়ির শাসনকালেও নয়। তাহলে এমন একজন নির্মোহ মানব-দরদী ডাঃ জোবাইদার পেছনে বাংলাদেশের সবেধন সরকার কেন উঠে পড়ে লেগে গেলো। শুধু লাগেনি, সমস্ত নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বর্তমান সরকার ডাঃ জোবাইদাকে চাকরীচ্যুত করেই ক্ষান্ত হয়নি, ডা. জুবাইদার প্রায় সকল সম্পত্তিই উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত। এ অবস্থায় তার মতো একজন সম্মানিত নাগরিক ও সমাজসেবক নারীর বিরুদ্ধে সম্পদের হিসাব গোপন করার অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট, হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বর্তমানে স্বামীর চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন। মূল বিবাদী দেশের বাইরে থাকাবস্থায় এ রকম একটি স্পর্শকাতর মামলার কার্যক্রম তার আইনজীবীর পক্ষে যথাযথভাবে পরিচালনা করা মোটেও সম্ভবপর নয়। ডা. জুবাইদা রহমান ও তার পরিবারকে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে এ ধরনের মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা পরিচালনা করা হচ্ছে বলে বিশ্ববাসী মনে করে।আমাদের রাষ্ট্র-যন্ত্রের ধিক ক্ষমতাশালী ব্যক্তি আর হর্তা কর্তারা একজন নিরীহ জোবাইদা রহমানকে এভাবে হেনস্থা করার কারণটাই বা কী। তারা কি এতোই ভীতু যে সাত সমুদ্র তের নদীর অপর পারের চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণায় ব্যস্ত একজন ডাক্তারকে এতো ভয় পায়।নাকি নিরেট শুধু রাগ ক্ষোভ আর হতাশার সাগরে ডুব দিয়ে মাথা ঠাণ্ডা অ-ঠাণ্ডা কিংবা সেই আদি যুগের বা আর্য যুগে ফিরিয়ে নেওয়ার নিষ্ফল চেষ্টা।জোবাইদা স্বামী রাজনীতি করেন, শ্বাশুড়ি রাজনীতি করেন। বিএনপি, তারেক রহমান, খালেদা জিয়া সরকারের পতন চান, রাগ গোস্বা সবই তাদের উপর থাকতে পারে। ঠিকই আছে। কিন্তু একজন জোবাইদার কী অপরাধ ? 

 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন