লকডাউন দিয়ে দায়িত্ব শেষ না করে, লকডাউন যাতে কার্যকর হয় সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ও নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের খারবার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
রবিবার (৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, এমনেতেই করোনার কারনে গত এক বছরে কাজ কমে গেছে শ্রমজীবী মানুষের। এমনকি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মাসের বেতনও ঠিকমতো এখনো দেয়া হয়না। অন্যদিকে দ্বীতিয় দফায় করোনার আক্রমনের ফলে লকডাউন হলে প্রায় সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত মানুষ কিভাবে দিনযাপন করবেন তা ভেবে দেখতে হবে সরকারকেই।
নেতৃদ্বয় বলেন, এখনই উচিত সরকার কেন্দ্রীয় উদ্যোগ নিয়ে একটি তহবিল গঠন করা। ত্রাণ ও দুর্যোাগ মন্ত্রণালয় পুরো বিষয়টি দেখতে সক্ষম হবে না। আগের বছরের করোনাকালে তারা এ বিষয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আর এটা তাদের একার পক্ষে সম্ভবও নয়। ওই তহবিলে শুধু সরকার নয়, দেশের বিত্তবানদেরও অংশ নেয়া উচিত। এই কাজে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। আর জনপ্রতিনিধিদেরও মনে রাখতে হবে মানুষের জন্য এখন তাদের কাজ করার সময়।
তারা বলেন, এখনই খাদ্য এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করে সরবরাহ ব্যবস্থা দ্রুত গড়ে তোলা প্রয়োজন। কারণ যারা এই কাজে যুক্ত হবেন তাদের স্বাস্থ্য নিরপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। সেটা করা না হলে লকডাউনের সময় খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ দুর্যোগে পড়বে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, দুর্যোগের এই মুহুর্তে চাকরি থেকে ছাঁটাই, কোনা প্রতিষ্ঠান লে অফ বা বেতন ভাতা নিয়ে কোনো টালবাহানা যাতে না করে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। প্রয়োজনে শ্রমিকদের একমাসের বেতন অগ্রিম প্রদান করা উচিত। সরকারকে মনে রাখতে হবে, সম্পদশালী ও আমলারা পায়ের উপর পা তুলে বাসায় এনজয় করবে। আর গরীব দিনমজুর কোথাও হাত পাতলে পাবে এটা সমাজকে ভারসাম্যহীন করে তুলবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন