জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাসায় না কি হাসপাতালে হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। তবে এ বিষয়ে ঢাকায় তার চিকিৎসক টিমের মতামতও নেওয়া হবে।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা ও সকল কাগজপত্র ইতোমধ্যে লন্ডনে পাঠানো হয়েছে। ডা. জোবাইদা সব কাগজপত্র দেখে এবং ঢাকার মেডিক্যাল টিমের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমের কয়েকজন সদস্য তাকে একটি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। এজন্য গুলশানে তার বাসার কাছেই ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসিইউ সুবিধা সম্পন্ন একটি কেবিনও বুক করে রাখা হয়েছে। শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে সাথে সাথে তাকে সেখানে স্থানান্তরিত করা হবে।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসার একজন কর্মী প্রথমে করোনা আক্রান্ত হন। তার কক্ষে অবস্থান করা বাকিদের করোনা পরীক্ষা করা হলে আরও ৭ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এরপর গত শনিবার বিকেলে খালেদা জিয়ার করোনার নমুনা নেওয়া হয়। রাতেই পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরে আবারো পরীক্ষা করা হয়। দ্বিতীয়বার পরীক্ষার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায় তার করোনা পজিটিভ।
এ অবস্থায় রোববার বিকাল সাড়ে চারটায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিকাল পৌনে পাঁচটায় তিনি ঘোষণা করেন দলীয় চেয়ারপারসন করোনা আক্রান্ত। এ সময় তিনি বার বার দাবি করেন, খালেদা জিয়া শারিরীকভাবে সুস্থ আছেন। তার মধ্যে করোনার কোনো উপসর্গ নেই। বাসায় রেখে নিজস্ব চিকিৎসক টিম তার চিকিৎসা করছেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাবের সাবেক মহাসচিব ও খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমের সদস্য প্রফেসর ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের বিষয়ে তার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছেন। আপাতত বাসায়ই চিকিৎসা চলছে। ম্যাডাম ভালো আছেন। হাসপাতালে নেওয়া হবে কি না সেটা পরে সিদ্ধান্ত হবে।
এছাড়া রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন ডা. আল মামুন। তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ম্যাডামের শারিরীক অবস্থা আল্লাহর রহমতে ভালো। তার কোনো রকমের উপসর্গ নেই। জ্বর, কাশি, গলাব্যাথা এগুলো কিছুই নেই। বলতে পারেন তাহলে টেস্ট করালাম কেন? কারণ হলো তার বাসার একজন স্টাফের ৫/৬ দিন আগে জ্বর জ্বর ভাব ছিল। তখন তাকে আমরা টেস্ট করাই। টেস্টের পরে পজিটিভ আসে। পরে ওই স্টাফ যে কক্ষে থাকতেন, সেই কক্ষের বাকিদেরও টেস্ট করাই। তাদেরও পজিটিভ আসে। সেজন্য ম্যাডামের নিরাপত্তার জন্য চেক করাই। শনিবার চেক করানোর পরে আজ (রোববার) পজিটিভ আসে। ওই বাসায় এখন মোট ৯ জন করোনা পজিটিভ।
হসপিটালে ভর্তি করাবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনতো তিনি ভাল আছেন। তারপরও আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা করে রেখেছি। একটি বেসরকারি হসপিটালে কেবিন রাখা হয়েছে। বাসায় একটা হসপিটাল বানিয়ে রেখেছি। এখানে অক্সিজেন থেকে শুরু করে সব ধরণের প্রিপারেশন আছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন