বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান এবং সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করি ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপনকরেন।
বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের ইন্তেকালে আরো শোক প্রকাশ করেছেন ভাসানী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিষদ আহ্বায়ক মতিয়ারা চৌধুরী মিনু ও সদস্য সচিব সোলায়মান সোহেল।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানকে গতকাল ২৮ জুন ২০২০ পরবর্তী ০৩ (তিন) বছরের জন্য বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ২৯ জুন ২০২০ পূর্বাহ্ণে তিনি বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন।
অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের জন্ম মানিকগঞ্জ জেলার চারিগ্রামে (২৯ ডিসেম্বর ১৯৪০), শিক্ষা : ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ১৯৬২ এবং স্নাতকোত্তর ১৯৬৩।
তাঁর রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফোকলোর চর্চা, বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রচিন্তা ও বর্তমান বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলাপ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, মুক্তবুদ্ধি, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমকাল, বাঙালির বহুত্ববাদী লোকমনীষা, মীর মশাররফ হোসেন : নতুন তথ্যে নতুন ভাষ্যে, সৃজনভুবনের আলোকিত মানুষেরা, রঙ্গরসের গল্পসমগ্র, কিশোর রচনাসমগ্র, বাংলাদেশের উৎসব, বাংলা সন ও পঞ্জিকা, ফোকলোরচিন্তা ইত্যাদি।
শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের সূচনা। বিভিন্ন সময় মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ, ঢাকা জগন্নাথ কলেজ, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্বিবিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্বিবিদ্যালযয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ—এর চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ছিলেন। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (২০০১), একুশ পদক (২০০৯) এবং ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার—এ ভূষিত হয়েছেন। তিনি ইসলামী বিশ্বিবিদ্যালয়, কুষ্টিয়া’র বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়—এর সিন্ডিকেট সদস্য।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন