শাহরিয়ার খাঁন সাকিব, মৌলভীবাজার :: চারপাশে সবুজ ধানের সমারোহ। মাঝখানে বেগুনি রঙের পাতার ধানক্ষেত। যে কেউ প্রথম দর্শনে ধান ভাবতে অবাক হবেন। আবার চারদিকে বিস্তৃত সবুজ ধানক্ষেতের মধ্যে বেগুনি রঙের এ ধান গাছ দেখে অনেকেই অবাক হচ্ছেন।
এমনই বেগুনি পাতার ধান চাষ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১২নং গিয়াসনগর ইউনিয়নের আকবরপুর গ্রামের সৌখিন কৃষক দেলোয়ার হোসেন প্রথমবারের মতো চলতি মৌসুমে ক্যান্সার ও ডায়বেটিস রোগের প্রতিরোধ সহায়ক বেগুনি রঙের পাতা ও কাণ্ডবিশিষ্ট ধান আবাদ করেছেন। এতে করে ব্যাপক সাড়া পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
শুধু গাছই নয় এ জাতের ধানের চালের রঙ ও বেগুনি। কৃষকদের কাছে বেগুনি ধান নামে পরিচিতি পেয়েছে এ জাতের ধান।
ধানটির জীবনকাল একশত পয়তাল্লিশ থেকে একশত পঞ্চান্ন দিন। এখন গাছ থেকে ধানের ছড়া বের হতে শুরু করেছে। মাত্র পাঁচ কেজি বীজ দিয়ে জমিতে বেগুনি রঙের ধান রোপণ করেছেন দেলোয়ার হোসেন। অন্য জাতের ধানের চেয়ে এ ধানের গোছা প্রতি কুশির পরিমাণ বেশি থাকায় একরপ্রতি ফলনও বেশ ভালো।
দেলোয়ার হোসেন জানান, তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে মাত্র ৩০ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছেন বেগুনি রঙের এ জাতের ধান। যদি ফলন ভালো হয়, তবে আগামীতে আরও বেশি জমিতে এ ধানের চাষ করবেন তিনি। এ জাতের বীজ সংগ্রহ করে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতা নিয়ে এই বেগুনি রঙের ধান চাষ করেছেন নিজ এলাকায়। একরপ্রতি ফলন ৫৫ থেকে ৬০ মণ হয়ে থাকে। অন্য সব ধানের তুলনায় এ ধান মোটা, তবে পুষ্টিগুণ অনেক।
তিনি আরও জানান, জমিতে বীজ রোপণের পর খুব বেশি পরিচর্যা করতে হয়নি। সারও লেগেছে কম। আশপাশের অনেক মানুষ আসছেন তাদের ধানক্ষেত দেখতে। অন্য ধানের চেয়ে ফলন বেশি পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
দ্রুত ফলন দেয়ায় এই জাতের ধানে রোগ বা পোকামাকড়ের আক্রমণ হয় না। গাছ শক্ত হওয়ায় ঝড়বৃষ্টিতেও হেলে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। সৌখিন কৃষকরা এই জাতের ধান চাষ করতে পারেন।
একজন চাষি পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছেন। ফলন ভালো হলে উৎপাদিত ধানগুলো বীজ আকারে রাখা হবে।
ধানক্ষেতটি নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এখন এর ফলন কেমন হবে, তা জানতে ধানকাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে এই ধান বোরো মৌসুমের জাত।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন