কাপড়ের মাস্ক নিয়ে যা বললো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

 জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

মহামারির প্রকোপে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে মাস্ক। বিশ্বজুড়ে যেভাবে করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়ে চলেছে তাতে কয়েক বছর তো বটেই, অনেকের হয়তো মাস্ক হবে আজীবনের সঙ্গী। তবে কাপড়ের মাস্ক পরার ক্ষেত্রে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

কাপড়ের মাস্ক না সার্জিক্যাল মাস্ক, ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কোনটা বেশি ভালো, তা নিয়ে এখনও সাধারণ মানুষের সন্দেহ রয়েছে। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় অনেকে সার্জিক্যাল মাস্কের বদলে কাপড়ের মাস্ক বেছে নিচ্ছেন। তাই এক্ষেত্রে বিশেষ কিছু সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিল ডব্লিউএইচও।

 

শুরু থেকেই মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার ওপর জোর দিচ্ছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক অঙ্গসংস্থাটি। তবে কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে হাত পরিষ্কার রাখায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সংস্থাটি বলেছে, মাস্ক পরা হোক বা খোলা সবসময় মাস্ক ছোঁয়ার আগে অবশ্যই হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

মাস্কে কোনো ছিদ্র কিংবা ছেঁড়া রয়েছে কি না, তা দেখে নিতে হবে ভালো করে। অনেক সময় দেখা যায় যে, মাস্ক পরার পর মুখের দুই পাশে ফাঁক থেকে যায়। তা কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। মাস্ক পরার পর মুখ, নাক এবং থুতনি সম্পূর্ণরূপে অবশ্যই ঢাকা থাকতে হবে।

ভারতীয় উপমহাদেশের মতো গ্রীষ্মের দাবদাহ যেসব এলাকায় রয়েছে সেখানে মাস্ক পরলে অনেকেই হাঁপিয়ে ওঠেন। যে কারণে হয়তো নিজের অজান্তেই মাস্কে হাত চলে যায়। টেনেটুনে মাস্ক আলগা করেন অনেকে। অস্বস্তি হলে উপরের অংশ ধরে মাস্ক ঠিক করতেও দেখা যায় অনেককে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ঘন ঘন মাস্ক না ছোঁয়াই ভালো। আর যদিও বা মাস্ক খুলতে হয় কিংবা ঠিক করতে হয়, তা কানের পাশে অথবা মাথার পেছন দিক থে‌কে মাস্কের বন্ধনী ধরেই খুলতে বা পরতে হবে। খোলার পরই মুখের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে মাস্ক।

কাপড়ের মাস্ক পুনর্ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় ভিজলে বা নোংরা না হলে খোলার পর পরিষ্কার স্থানে রাখতে হবে। পুনরায় ব্যবহার করতে চাইলে সাবান বা ডিটারজেন্টে ভিজিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তবে দিনে অন্তত একবার গরম পানিতে সাবান মিশিয়ে ধুয়ে নিলে ভালো হয়।

কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এর আগে তিন স্তরের মাস্কের ওপর গুরত্ব দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, দোকান থেকে কিনে বা বাড়িতে তৈরি করা মাস্ক পরা যাবে। তবে সংক্রমণ ঠেকাতে হলে তিনটি স্তরে আলাদা রকমের কাপড়ে মাস্ক তৈরি করতে হবে।

মাস্কের যে অংশটি ভেতরের দিকে থাকবে, তাতে সুতির কাপড় ব্যবহার করলে ভাল। কারণ তা মুখ থেকে নির্গত ‘ড্রপলেটস’ দ্রুত শুষে নিতে পারে। মাঝের স্তরে থাকবে ‘পলিপ্রোলাইনের’ মতো উপকরণ; যা ফিল্টারের কাজ করবে। বাইরের স্তরটি হবে ‘পলিয়েস্টারের’।

বাইরের স্তরটি হবে ‘পলিয়েস্টার’ দেওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এতে করে তা মুখের ভেতর থেকে সংক্রমণ বাইরে ছড়াতে দেবে না, আবার বাইরে থেকেও সংক্রমণ অর্থাৎ হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে আসা ড্রপলেটস মুখে প্রবেশ করা ঠেকাবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন