সৌদির স্কুলে পড়ানো হবে রামায়ণ-মহাভারত সিদ্ধান্ত বিন সালমানের

জিবি নিউজ ডেস্ক ।।

সৌদি আরবের স্কুলে রামায়ণ-মহাভারত পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ে পড়ানোর এমন পরিকল্পনা নিয়েছেন স্বয়ং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

সৌদি যুবরাজের পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশটির প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ্যসূচিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বিভিন্ন ধর্মের পাশাপাশি সৌদি আরবের স্কুল পাঠ্যসূচিতে যোগ করা হয়েছে রামায়ণ ও মহাভারতের পরিচয়। সেইসঙ্গে যোগ এবং আয়ুর্বেদ সম্পর্কেও বেশ কিছু বিষয় পড়ানো হবে।

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ভারতীয় পুরাণের দুই মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারত সৌদির স্কুলে পড়ানোর ফলে ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সেখানকার পড়ুয়ারা অবগত হবে এবং দুই দেশের মধ্যে যে সুসম্পর্ক রয়েছে, তা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

সৌদি আরব ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক আগের তুলনায় উন্নতি করেছে। এবার সেই সুসম্পর্ক কূটনৈতিক স্তর ছাড়িয়ে স্কুলের বইয়ের পাঠ্যক্রমের মধ্যেও জায়গা করে নিলো। তবে এ নিয়ে খোদ সৌদি বাসিন্দাদের মধে বিরুপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

অনেকে মনে করছেন, অন্যান্য দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের জন্য রামায়ণ এবং মহাভারত ছাড়াও আরো অনেক বিষয়ই আছে যা থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হতে পারবে।

তবে ভিন্নমত পোষণকারী ভারতীয় অধিবাসী কিংবা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা মনে করছে, ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি রামায়ণ এবং মহাভারতের মাধ্যমেই বৈশ্বিকভাবে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবে।

ঐতিহ্যগতভাবে রক্ষণশীল ইসলামী দেশ হিসেবেই পরিচিত সৌদি আরব। কিন্তু হাজার হাজার বছরের সেই ঐতিহ্য থেকে ক্রমেই বেরিয়ে আসছে দেশটি। এক্ষেত্রে একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদির আদি ইসলামী ঐতিহ্যকে ‘কট্টরপন্থা’ আখ্যা দিয়েছেন। বিপরীতে দেশে ‘মধ্যপন্থী ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার কথা বলছেন তিনি।

কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপন্থা’র নামে তিনি আসলে পশ্চিমা ভাবধারা ও সংস্কৃতিকেই আমদানি করছেন। সমাজ ও সংস্কৃতির ‘আধুনিকায়নে’ ভিশন-২০৩০ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

সেই লক্ষ্যেই ইতিমধ্যে বহু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। গাড়ি চালানো, হলে গিয়ে সিনেমা ও মাঠে গিয়ে খেলা দেখা এমনকি অভিভাবক ছাড়াই নারীদের হোটেলে কক্ষ ভাড়া নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

তরুণ সৌদি যুবরাজের সংস্কারমূলক কাজের মধ্যে রয়েছে তেলের ওপর নির্ভরতা থেকে অর্থনীতিকে বের করে আনা, তরুণ নাগরিকদের কর্মসংস্থানে নতুন নতুন খাত তৈরি, নারীর ক্ষমতায়ন ও নাগরিকদের জীবনযাপনের ওপর কড়াকড়ি শিথিলের মতো বিষয়গুলো।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন