জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
আইয়ুব খান ও ইয়াহিয়া খান যা করেছে জিয়া ও এরশাদ ক্ষমতায় এসে একই কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সকল শহীদের স্মরণে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মিলিটারিরা ক্ষমতায় আসলে তারা কোনোদিন গণতন্ত্র দিতে পারে না। কিন্তু তাদের পদলেহনকারী ও সুবিধাবাদী দালাল শ্রেণির লোকেরা জিয়া-এরশাদের শাসনের মধ্যে গণতন্ত্র খুঁজে পায়।
তিনি বলেন, মিলিটারি ডিক্টেটররা ক্ষমতা দখল করে সমাজের কিছু লোককে তাদের কাছে ডেকে নেয় এবং তাদের ক্ষমতা বৈধ করার জন্য গণতন্ত্রের কথা বলে। যারা দালাল ও সুবিধাভোগী তারা তাদের কথা এবং তাদের গুণগানের কথা সমাজে ছড়াতে থাকে। কোনো কোনো বুদ্ধিজীবী তাদের পক্ষে লেখালেখি করে তাদের সুনাম তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পরে গুম, হত্যা, সন্ত্রাস বেড়ে যায়। সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসারকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিশেষ করে যারা মুক্তিযোদ্ধা তারা জিয়ার হাত থেকে রেহাই পায়নি। আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী তাদের অবৈধ কাজের প্রতিবাদ করলে তাকে হত্যা করা হতো। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন। সাদা পোশাকধারী এসে তাদের তুলে নিয়ে যেত তাদেরকে আর পাওয়া যেত না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেকেই জিয়ার ক্ষমতার মধ্যে গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ান। আসলে সত্যিকারের গণতন্ত্র থাকলে তারা শান্তি পান না। কারণ সত্যিকারের গণতন্ত্রে দালালদের স্থান থাকে না। জিয়া-এরশাদের মতো গণতন্ত্র থাকলে তাদের চাটুকারিতা করা যায়। তাদের পাশে থেকে নিজের স্বার্থ হাসিল করা যায়। এই জন্যই তারা দালালি করে। একজন গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে কোনো দালাল ও পদলেহনকারীর স্থান নেই।
সরকারপ্রধান বলেন, ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন তারা গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছিল। জনগণ বুঝতে পেরেছিল দেশের সত্যিকারের গণতন্ত্র থাকলে দেশের সাধারণ মানুষ সুবিধা পায়। আমরা তা প্রমাণ করেছি।
১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফেরেন তখন তিনি তার ভাষণে কোন পথে রাষ্ট্র চলবে তার বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য তিনি সমস্ত রূপরেখা ঘোষণা করেছিলেন। রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে আমি দেখি, সমুদ্রসীমা, ভূ-উপগ্রহ, স্থলসীমা, খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা ও খাদ্য নিরাপত্তা-এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে তার হাতের স্পর্শ পড়েনি। প্রত্যেকটা জায়গায় তিনি কাজ করে গেছেন এবং নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় থেকে এত কাজ তিনি কীভাবে করেছেন, তা ভাবতেই অবাক লাগে!
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন