মা-বাবার বিচ্ছেদ নিয়ে যা বললেন জেনিফার গেটস

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

দীর্ঘ ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবন শেষে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস। বিচ্ছেদের কারণ চেপে গেছেন বিল ও মেলিন্ডা উভয়েই।

তাদের ঘর আলো করে এসেছে তিন সন্তান। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব ফেলছে তাদের জীবনে। বিচ্ছেদ ঘোষণার পর গেটস দম্পতির ২৫ বছর বয়সী কন্যা জেনিফার গেটস এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

 

ওই পোস্টে জেনিফার গেটস বলেন, মা-বাবার বিচ্ছেদের ঘোষণার পরে পরিবারটি এখন কঠিন সময় পার করছে। খবর রয়টার্সের।

তিনি বলেন, আমি এই মুহূর্তে আমার নিজের আবেগ পাশাপাশি আমার পরিবারের সদস্যদের কিভাবে সর্বোত্তমভাবে সামলে রাখা যায়, তা নিয়ে এখনো আমি কাজ করছি। এতে আমাকে সুযোগ ও সমর্থন দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।

তিনি লিখেছেন, এই বিষয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনাদের সহানুভূতিশীল বক্তব্য ও সমর্থন আমার কাছে অনেক বড় বিষয়। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের চাওয়া বুঝতে পারায় সবার প্রতি ধন্যবাদ। আমরা এখন আমাদের জীবনের পরবর্তী পর্যায় নিয়ে কাজ করব।

এই দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড় জেনিফার। তার এক ভাই ২২ বছর বয়সী এবং ১৯ বছরের বোন ফোয়েব রয়েছে। তারা সবাই সিয়াটলে বড় হয়েছেন এবং পড়েছেন লেকসাইড হাইস্কুলে।

জেনিফার ২০১৮ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে জীববিজ্ঞানের ওপর স্নাতক পাস করেন। এরপর তিনি নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাইয়ের ইকাহন স্কুল অব মেডিসিনে ভর্তি হয়েছিলেন। বিভিন্ন দাতব্যকাজেও সংশ্লিষ্ট আছেন জেনিফার গেটস।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, বিল গেটস ও মেলিন্ডার সম্পর্কের শুরুটা ছিল পেশাভিত্তিক। ১৯৮৭ সালে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে মাইক্রোসফটে যোগ দিয়েছিলেন মেলিন্ডা। এরপর দুজনের মধ্যে জানাশোনা শুরু হয়।

এরপরের গল্প দুজনের সামনে এগিয়ে যাওয়া। শুরু হয় দুজনের চুটিয়ে প্রেম। নেটফ্লিক্সে প্রচারিত এক তথ্যচিত্রে বিল গেটস বলেছেন, ‘আমরা একে অপরের খুব খেয়াল রাখতাম। এখানে দুটি সম্ভাবনা ছিল। হয় আমাদের প্রেমে বিচ্ছেদ হবে, নয়তো আমাদের বিয়ে করতে হবে।’

মেলিন্ডা বলেন, তিনি বিল গেটসকে একজন সুশৃঙ্খল মানুষ হিসেবে আবিষ্কার করেছিলেন। এমনকি তাকে বিয়ে করার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিও দিয়েছিলেন বিল—এমনটাই জানিয়েছিলেন মেলিন্ডা।

এরপর প্রেম আরও গভীর হয়েছে। প্রেম শুরুর সাত বছর পর ১৯৯৪ সালে তারা এক ছাদের নিচে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

হাওয়াই দ্বীপের লানাইয়ে হয়েছিল সেই আয়োজন। এরপর মাইক্রোসফট বড় হয়েছে। কিন্তু গত বছর তারা এ প্রতিষ্ঠান থেকে অবসরে যান, ব্যস্ত হয়ে পড়েন দাতব্যকাজে।

এজন্য ২০০০ সালে দুজনে মিলে গড়ে তোলেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। এটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতব্য সংস্থা। এ ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে সংক্রামক রোগব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই ও শিশুদের টিকাদানে উৎসাহিত করতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছে এ ফাউন্ডেশন। কিন্তু যে পথ বেঁধে দিয়েছিল বন্ধন, তার বিচ্ছেদের ঘোষণা এল সোমবার। দুজনার দুটি পথ দুটি দিকে গেল বেঁকে। দীর্ঘ ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন বিল ও মেলিন্ডা। টুইটার বার্তায় তারা এ ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার টুইটারে পোস্ট করা যৌথ বার্তায় গেটস দম্পতি বলেন, ‘ব্যাপক চিন্তাভাবনা করে আমরা বিয়ের সম্পর্কের সমাপ্তি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এ ছাড়া টুইটবার্তায় বিল গেটস ও মেলিন্ডা বলেন, ‘গত ২৭ বছরে আমরা অসাধারণ তিনটি সন্তান পেয়েছি। এমন একটা ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছি, যে ফাউন্ডেশন বিশ্বজুড়ে মানুষের স্বাস্থ্য ও সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে। আমরা যে বিশ্বাস থেকে ফাউন্ডেশনটি চালু করেছি, সেটা থাকবে। এই ফাউন্ডেশনের কাজ একসঙ্গে চালিয়ে যাব। কিন্তু আমরা এটা আর বিশ্বাস করতে পারছি না যে, আমাদের জীবনের পরের ধাপে দম্পতি হিসেবে আমরা একসঙ্গে থাকতে পারব।’

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন