১৬০তম জন্মজয়ন্তী ; রবীন্দ্রনাথ গোটা পৃথিবীর সাহিত্য অঙ্গনকে আলোকিত করেছিল : বাংলাদেশ ন্যাপ



রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্য তো বটেই, গোটা পৃথিবীর সাহিত্য অঙ্গনকে আলোকিত করেছিলেন বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, পৃথিবীর পূর্বপ্রান্তের সেরা দার্শনিক হিসেবে যাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং বিখ্যাত নোবেল বিজয়ী কবি পাবালো নেরুদার মতো মানুষও যার কবিতা নকল করে ধন্য হয়েছিলেন।

শুক্রবার (৭ মে ) বিশ্বকবি কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মজয়ন্তিতে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

বাংলা সাহিত্যের অহংকার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা বলেন, সমগ্র পৃথিবী আজ ধুঁকছে মহামারী করোনায়। এই সময়ে কবিগুরুর গান, কবিতা, সাহিত্য মানুষের মনে সাহস জোগায়, মনকে শান্ত করে।

নেতৃদ্বয় বলেন, সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিচরণ নেই। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি তার সারা জীবনের কর্মে সমৃদ্ধ হয়েছে। তিনি বিশ্বের একমাত্র কবি যিনি দুটি দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীত জন গণ মন উভয়টির রচয়িতাই রবীন্দ্রনাথ। বলা যায় তাঁর হাতে বাঙ্গালীর ভাষা ও সাহিত্য, শিল্পকলা ও শিল্প চেতনা নতুনভাবে নির্মিত হয়েছে। তার রচিত গানগুলোর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আলাদা। আজকে পৃথিবীর অনেক দেশেই রবীন্দ্র সঙ্গীতকে ব্যবহার করা হচ্ছে সাইকোথেরাপির কাজে।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, রবীন্দ্রনাথ কথিত 'হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী'র কোনো পরিবর্তন ঘটেনি তার মৃত্যুর প্রায় ৮০ বছর পরও। বিশ্বভুবন এখন সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের হাতের মুঠোয়। এসব দুর্বৃত্তপনায় শক্তিমান বাধা দূরে থাক, প্রতিবাদের সাহস রাজনৈতিক ভুবনে বা রাষ্ট্রগুলোর নেই। জাতিসংঘ এ ক্ষেত্রে পরাশক্তির তাঁবেদার। ক্ষেত্রবিশেষে তাদের স্বার্থসিদ্ধির কৌশলী-কুশলী সহায়ক। বর্তমানে এমন এক বিশ্ব-পরিস্থিতি লক্ষ্য করে উদ্বিগ্ন শুদ্ধ গণতন্ত্রী ও প্রগতিবাদী ঘরানার মানুষ।

তারা আরো বলেন, রাজনৈতিক-রাষ্ট্রনৈতিক বিচারে রবীন্দ্রনাথ জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ পশ্চিমা রাষ্ট্রবিশেষ এবং প্রাচ্য দেশীয় জাপানের আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের তীব্র সমালোচনা করেও প্রবন্ধ রচনা করেন। ফলে ক্ষুব্ধ হয়েছিল ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও জাপানি ফ্যাসিবাদ। এ ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছিল কবির ওইসব দেশ সফরে; সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে, এমনকি সংস্কৃতি মহলের আচরণে। তিনি শুধু আধিপত্যবাদী বাহিনীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদই করেননি, সাম্রাজ্যবাদের সমর্থক কবি-বুদ্ধিজীবীদের অন্যায্য আচরণের বিরুদ্ধেও ধিক্কার জানিয়েছেন কঠোর ভাষায়।

নেতৃদ্বয় বলেন, সাংস্কৃতিক ভুবনের পরাজিত মনোবৃত্তি বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাঙ্ক্ষিত ছিল না। বর্তমানে আমাদেরও কাঙ্ক্ষিত নয়, কাঙ্খিত হতে পারে না। দেশে-দেশে জনতা জেগে উঠুক অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদ উচ্চারিত হোক নিযুত কণ্ঠে। কারণ বর্তমান বিশ্বে প্রভুত্ববাদ তথা সাম্রাজ্যবাদ এক বড় আপদ। সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদ কখনোই বিশ্বমানবের স্বার্থের অনুকূল ছিল না, এখনও নয়। তাই এর বিরুদ্ধে তথা আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক প্রতিবাদ গড়ে তোরাই হোক রবীন্দ্র জয়ন্তীর প্রত্যয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন