জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
সপ্তাহজুড়ে সমগ্র বিশ্বেই সবথেকে বেশি আলোচিত ইস্যু ছিল বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটসের বিচ্ছেদ। প্রশ্ন ছিল এর কারণ এবং গেটস ফাউন্ডেশনের ভবিষ্যৎ নিয়েও। তবে তার উত্তর পাওয়া গেছে। কিন্তু তাদের ৬৬ হাজার স্কয়ার ফুটের সুবৃহৎ বাড়ির কী হবে তা এখনো জানা যায়নি। বাড়িটিকে ঘিরেও দেখা গেছে নেটিজেনদের ব্যাপক আগ্রহ। আর এ নিয়েই একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিএনএন।
এতে জানানো হয়েছে, 'দ্য গেটসেস ম্যানশন' নামের ওই বাড়িটির নাম হচ্ছে জানাডু ২.০। সিয়াটলের ওয়াশিংটন লেকের পাশে অবস্থিত এই প্রাসাদটি। আরেক মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের বাড়িও আছে কাছেই।
ধারণা করা হয়, বিল গেটসের এই বাড়ির দাম ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। এই বাড়িতে নিরিবিলি থাকতেই পছন্দ করতেন গেটস দম্পতি। তারপরেও বছরজুড়েই গণমাধ্যমকর্মী ও দর্শনার্থীদের দেখা মিলতো এখানে। তারাই এই বাড়ির নানা বর্ননা তুলে ধরেছেন। সেখান থেকেই জানা যায় বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যাক্তির বাড়ির ভেতরে আসলে কী আছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই বাড়িতে আছে ২০টি গাড়ি রাখা যায় এমন একটি গ্যারাজ। ৬০ ফুট দীর্ঘের একটি ইনডোর/আউটডোর পুল আছে এতে। আছে পানির নিচে মিউজিক সিস্টেম। আছে একটি ২ হাজার ৫০০ স্কয়ার ফুটের ব্যায়ামাগার। প্রতি রুমেই আছে টাচ প্যাড নিয়ন্ত্রিত বাতি, মিউজিক ও আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। পুরো বাড়িতে যদিও ৭ টি বেডরুম রয়েছে কিন্তু বাথরুম আছে ২৪ টি!
লেকের চারদিকে আছে সমুদ্রতীরের মতো করে বালি ফেলা। এগুলো আনা হয়েছে হাওয়াই থেকে। বাড়িটির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় বিল গেটসের মুখপাত্রদের কাছে। তবে তারা এ নিয়ে কোনো তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বাড়িটি কে পাবেন তা নিয়েও স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মেলিন্ডা এই বাড়িটির জন্য লড়াই করবেন। যদিও বিয়ের আগে থেকেই বাড়িটি নির্মান শুরু করেন বিল গেটস।
তবে বিয়ের পর নতুন স্থাপতি এনে নতুন করে এর নকশা করেন মেলিন্ডা। ২০০৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি এই বাড়িতে আজীবন থাকতে চান। তবে ২০১৯ সালে তিনি তার মত পরিবর্তনের কথাও জানান। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই বাড়িতে হয়তো চিরজীবন থাকা হবে না তাদের। তিনি জানিয়েছিলেন, বিল গেটসকে নিয়ে তিনি ১৫০০ স্কয়ার ফুটের একটি বাড়িতে থাকতে চান তিনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন