নেপালে আস্থা ভোটে হেরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী ওলি

  জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

নেপালের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে গেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সোমবার আস্থা ভোটে তিনি হেরে গেছেন বলে জানান পার্লামেন্টের স্পিকার অগ্নি সাপকোতা। ভোট গণনা শেষে স্পিকার জানান, প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টের আস্থা হারিয়েছেন। ফলে এবার তাকে পদত্যাগ করতে হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

ওলির কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতা বণ্টন নিয়ে মার্চে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এদে পার্লামেন্টে তার দল পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। এখন নেপালের রাজনৈতিক দলগুলোকে নতুন জোট সরকার গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

 

দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি সামলাতে না পারার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। ২৩২ আইনপ্রণেতাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ৯৩টি ভোট পড়ে এবং বিপক্ষে পড়ে ১২৪টি ভোট। ১৫ জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।

রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে নেপালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে। তার পর থেকে এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রীকে আস্থা ভোটে হারতে হলো। এবার তাকে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠাতে হবে।

ভোটে হেরে যাওয়ার পর ওলি বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক। তিনি দেশের মানুষের স্বার্থেই কাজ করছিলেন। কিন্তু সংকীর্ণ রাজনীতির শিকার হলেন তিনি।

ওলির বিরুদ্ধে দলের নেতাদের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মাওবাদী গোষ্ঠীর প্রধান প্রচণ্ড। তিনি বলেছেন, ওলি অস্থিতিশীলতা তৈরি করেছেন এবং যে সংকটের মধ্যদিয়ে দেশ যাচ্ছে সেটির নেপথ্যেও তিনি। এখন আর পার্লামেন্টের আস্থাও নেই তার।

দায়িত্বে নেওয়ার পর ৩৮ মাস প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন কেপি ওলি। তার শাসনামলে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে দেশের সীমানা নিয়ে ভারতের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয়। ওলির নিজের পার্টিতেও ভারতের সঙ্গে এই অযথা টানাপোড়েন অনেকে ভালভাবে নেননি। তখনই তাকে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ওঠে। কিন্তু পরে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন