জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
ভারতে যে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে তা 'ভেরিয়েন্ট অফ কনসার্ন' বা যথেষ্ট উদ্বেগের। সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন ডাব্লিউএইচও-র কোভিড ১৯ সংক্রান্ত গবেষণার প্রধান বিজ্ঞানী মারিয়া ভ্যান কারকোভ।
তিনি বলেছেন, কোভিডের ভারতীয় ভেরিয়েন্ট বা সংস্করণ অনেক বেশি মারাত্মক। যুক্তরাজ্যের ভেরিয়েন্টের চেয়েও দ্রুত ছড়ায় এই সংস্করণ। ভারতীয় করোনা প্রাণঘাতীও। শুধু তাই নয়, বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, টিকা নেওয়া থাকলেও করোনার ভারতীয় সংস্করণটি ছড়িয়ে পড়ছে। অর্থাৎ, এই সংস্করণটি টিকার বাধাও মানছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এতদিন করোনার ভারতীয় সংস্করণটিকে 'ভেরিয়েন্ট অফ ইনটারেস্ট' হিসেবে পরীক্ষা করছিল। সোমবার তারা সেই নাম বদলে এটিকে উদ্বেগের সংস্করণ হিসেবে ঘোষণা করল। করোনার ভারতীয় সংস্করণটির বৈজ্ঞানিক নাম বি দশমিক এক দশমিক ৬১৭। যুক্তরাজ্যের সংস্করণের চেয়ে অনেকটাই আলাদা এই সংস্করণ।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, ভারতে এই মুহূর্তে ভারতীয় সংস্করণ সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী। তবে তার সঙ্গে যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সংস্করণও রয়েছে। করোনার একাধিক সংস্করণ এক সঙ্গে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে ভারতে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় সংস্করণ দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে একজনের শরীরে ভারতীয় সংস্করণ পাওয়া গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্য দেশেও তা ছড়িয়েছে বলে ডাব্লিউএইচও-র ধারণা। মঙ্গলবার এই সংস্করণটির বিষয়ে আরো তথ্য জানানো হবে মারিয়া জানিয়েছেন।
মারিয়ার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। তিনি জানিয়েছেন, বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে ভারতীয় সংস্করণ টিকার বাধা মানছে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও টিকা নিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব সকলকে টিকা নিতে হবে। যে পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলছে, সেই পদ্ধতিতেই আপাতত চিকিৎসা চালাতে হবে। মারিয়া অবশ্য সোমবার বলেছেন, কীভাবে এই সংস্করণটির চিকিৎসা করা হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি এখনো জানা যায়নি। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন