জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
সিলেটে ফের ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনা। একদিকে বাড়ছে সংক্রমণ, অন্যদিকে বাড়ছে মৃত্যুর হার। ঈদের সময় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে শপিং করা ও ঈদের পরে অবাধে ঘুরোঘুরির কারণে সংক্রমণ বেড়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যবিভাগের বিশেষজ্ঞরা।
ঈদের আগে কড়াকড়ি বিধিনিষেধের ফলে সারাদেশের মতো সিলেটেও কমে এসেছিল করোনা সংক্রমণ। নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত সনাক্তের সংখ্যাও অনেকটা কমে আসে। চারটি ল্যাব মিলে প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষায় ১৫ থেকে ২০ জন আক্রান্ত সনাক্ত হতেন। বেশিরভাগ দিন কাটতো করোনায় মৃত্যুহীনভাবে। ফলে সিলেট বিভাগজুড়ে অনেকটা স্বস্তি বিরাজ করছিল। কিন্তু ঈদের পর থেকে হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষায় সিলেট বিভাগে আক্রান্ত সনাক্ত হচ্ছেন অর্ধশতাধিক। মারা যাচ্ছেন একাধিক। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় সিলেটের চার ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ৯৭ জন। আর এই ৯৭ জনসহ বিভাগে আক্রান্ত সনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৮৪৫ জন।
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর চাপ। বাসায় চিকিৎসাধীন আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থা খারাপ বা শ^াসকষ্ট দেখা দিলেই তাকে নিয়ে আসা হচ্ছে হাসপাতালে। ফলে সিলেটের একমাত্র কোভিড ডেডিকেটেড শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার সকালে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে কোডিভ আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিলেন- ২০৩ জন। এর মধ্যে গেল ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হন ১৩ জন। বাকিরা আগে থেকেই ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে শুধু সিলেট জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৯৮ জন। এছাড়া সুনামগঞ্জে ৩ জন ও হবিগঞ্জে ২ জন আক্রান্ত ব্যক্তি হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কোভিড চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন- আগে কোভিড আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতো ধীরে ধীরে। এখন অনেক রোগীর অবস্থার অবনতি হচ্ছে খুবই দ্রুত। সকালে সুস্থ অনুভব করা রোগীর বিকেলে শ^াসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। রাতে অবস্থার আরো অবনতি হলে নেয়া লাগছে আইসিইউতে। করোনার নতুন ধরণ আগের চেয়ে শক্তিশালী হওয়ায় দ্রুত তা ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলেও জানান চিকিৎসকরা।
সিলেটে সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের সহকারি পরিচালক ডা. নূরে আলম শামীম বলেন, ঈদের আগে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষ শপিং করেছে। ঈদের পরও মানুষের ঘুরোঘুরি অব্যাহত রয়েছে। ফলে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত তথা সঠিক নিয়মে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন