গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুওে অবৈধভাবে গড়া ওঠা অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপারেশনসহ বিভিন্ন ল্যব টেস্ট করা হচ্ছে। উপজেলায় বর্তমানে ২১ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।এরমধ্যে মাত্র তিনটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন রয়েছে। বকী সব চলছে অবৈধভাবে। গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন অফিসের কতিপয় অসাধূ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজসে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে ওঠেছে প্রতিনিয়ত এসব ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে এসে আসহায় নীরিহ মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চিকিৎসার নামে নীরিহ মানুষের সাথে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ক্লিনিক ব্যবসায়িরা। সম্প্রতি মুকসুদপুরের অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো পরিদর্শন করে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্লিনিকগুলো সরকারি নীতিমালা অনুযায়ি চলছে না। ক্লিনিকগুলোতে প্রতিনিয়ত সিজারিয়ান,এপেন্ডিসেকটমি, অ্যাবরসন,গলব্লাডার স্টোনসহ বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করা হয়। এসব ক্লিনিকে ফুল টাইম একজন আবাসিক ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও তা দেখা যায়নি। ডিপ্লোমা নার্সের বদলে প্রশিক্ষণহীন স্বল্প শিক্ষিত আয়া দিয়ে নার্সের কাজ চালানো হয়।মানহীন ও,টি’ তে অপারেশন করা হচ্ছে। অপারেশন করার যন্ত্রপাতি অটোক্লেভের কোন ব্যবস্থা নেই। নেই কোন বর্জ্য ব্যবস্থপনা। ফলে ভুল ও অপচিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে অনেক রোগীর। অপরদিকে,ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর হালচালও একই রকম। অদক্ষ ও অনভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দিয়ে ল্যাব টেষ্ট করা হয়। মেয়দোতীর্ণ ও মানহীন রিএজেন্ট দিয়ে এসব ল্যাবটেষ্ট করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।ল্যাব টেষ্টের রিপোর্ট নিয়েও রয়েছে নানান প্রশ্ন। পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলাফলে রয়েছে ব্যপক তারতম্য। করোনা মহামারির মধ্যেমুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের সামনে গড়ে ওঠেছে ১০ শয্যা বিশিষ্ট ইসলামিয়া হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ক্লিনিকের মালিক হলেন মুকসুদপুর কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নাঈম গাজী। প্রতিষ্ঠানটির কোন অনুমোদন নেই। ইেিতামধ্যে ওই ক্লিনিকে ৬০ টির বেশী সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়েছে বলে জানালেন নাঈমগাজীর স্ত্রী সনিয়া সুলতানা। অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে অনলাইনে আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। রোগীর স্বজন মুকসুদপুরের মহারাজপুরের মিরাজ শেখ অভিযোগ করে বলেন, প্রতি সিজাবে ২০ হাজার করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। অথচ সে অনুযায়ি কোন সেবা দেওয়া হচ্ছেনা। ডাক্তার ডাকলে পাওয়া যায়না। আয়া ও অপ্রশিক্ষিত নার্স দিয়ে কাজকর্ম চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য সেবার নামে রীতিমতো প্রতারনা করা হচ্ছে। রোগীর জীবন নিয়ে করা হচ্ছে ব্যবসা। একই অবস্থা দেখা যায় মুকসুদপুরের সিটি ডিজিট্যাল ডায়গনস্টিক, জিম ডায়গনস্টিক, ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিকসহ ১৮ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। স্থানীয় লোকজনের সাথে বকথা বলে জানা যায়, মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ মনিরুজ্জামান নামের একজন চিকিৎসক অপারেশন করে থাকেন। এ ক্লিনিক থেকে সে ক্লিনিকেই তার দিন পার হয়ে যায়।রোগীরা তাকে কখনও হাসপাতালে গিয়ে পাননা বলে তাদেও অভিযোগ রয়েছে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মাদ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এসব বিষয় নিয়ে মাঠে নেমেছি। অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা আমাদের কাজ শেষ করতে পারবো। #
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন