জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
ঢাকার আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক সুমন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া বাকি পাঁচ জনের প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
শনিবার (২৯ মে) বিকেলে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. শাহাজাদী তাহমিদার আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে আসামি পাঁচ জনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে দুপুরে প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ছয় আসামিকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
ঢাকা জেলা কোর্ট পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আশুলিয়া থেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এদের মধ্যে আসামি চালক সুমন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শুনানি শেষে অপর পাঁচআসামির প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তারাগুনা এলাকার মৃত আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন (২৪), নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার ধামঘর এলাকার জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫) ও বগুড়া জেলার ধুপচাচিয়া থানার জিয়ানগর গ্রামের সামছুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)। তারা সবাই তুরাগ থানার কামারপারা ভাসমান এলাকায় ভাড়া থেকে এবং আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাত।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ওই ছয়জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর বোন মানিকগঞ্জে থাকেন। গতকাল (শুক্রবার) তিনি বোনের বাসায় যান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে নারায়ণগঞ্জে নিজের বাসায় ফেরার জন্য তিনি বাসে ওঠেন। রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে তাকে নামিয়ে দেয়া হয়। এ সময় বাসের জন্য তিনি অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত ৮টার দিকে নিউ গ্রামবাংলা পরিবহনের একটি মিনিবাসের চালকের সহকারী মনোয়ার ও সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম এসে টঙ্গী স্টেশন রোডের কথা বলে তার কাছে ৩৫ টাকা ভাড়া চান। তিনি মিনিবাসে উঠলে গন্তব্যে যাওয়ার আগেই বাসের অন্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়।
এরপর চালক বাসটি নিয়ে আবার নবীনগরের দিকে রওনা হন। এ সময় বাসের জানালা ও দরজা আটকে বাসের চালক ও সহকারীসহ ছয়জন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। টহল পুলিশ বাসটি থামিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই ছয়জনকেও আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী ওই ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এরপর ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওই নারী নারায়ণগঞ্জে স্বামী ও সন্তান নিয়ে থাকেন। তিনি সেখানে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। তার স্বামীর বাড়ি লালমনিরহাটে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন