সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর ও ধর্মপাশা-মধ্যনগর উপজেলা সীমান্তের জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক হল বাগলী-বাঙ্গালভিটা সড়ক। এই সড়ক দিয়ে সুনামগঞ্জ জেলাসহ পাশর্^বর্তী নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা, দূর্গাপুর ও মোহনগঞ্জ উপজেলার মানুষও যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক নির্মাণের ২বছর না যেতেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এজন্য নিন্মমানে কাজকে দায়ী করেছে এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত তাহিরপুর ও ধর্মপাশার মর্ধনগর সীমান্ত। এই সীমান্তে বিজিবির নিয়মিত টহলের সুবিধার্থে ও দুই জেলার লক্ষলক্ষ জনসাধারণের চলাচলের জন্য ২০১৯সালে তাহিরপুর ও মধ্যনগর সীমান্তের মাঝে বাগলী-বাঙ্গালভিটা সড়কের ১৫শ মিটার (প্রায় দেড় কিলোমিটার) জায়গায় ইট সলিং করা হয়। ৮২লক্ষ টাকা ব্যয় করে এই সড়কের নির্মাণ কাজ করে তাহিরপুর উপজেলার হক এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। কিন্তু ২বছর যেতে না যেতেই সড়কের ইট ভেঙ্গে এদিক সেদিক সড়ে গেছে। সড়কে ইট সলিং করার সময় নিচে বালি না দিয়ে নিন্মমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। সড়কের দুই পাশে মাটি সঠিকভাবে দেওয়া হয়নি। এছাড়া পাহাড়ী ঢল ও হাওরের ঢেউ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য সড়কের দুইপাশে বাঁশের আড় ও প্যালাসেটিং প্রাক্কলন অনুযায়ী করা হয়নি। এসব নানান অনিয়মের কারণেই স্বল্প সময়ের মধ্যে এই সড়কের বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই সড়কের নির্মাণ কাজের সার্বিক তদারকির দায়িত্বে ছিল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। বর্তমানে বাগলী- বাঙ্গালভিটা সড়কটির নির্মাণ কাজ অসম্পন্ন রয়েগেলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার চুড়ান্ত বিল উত্তোলনের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নিয়ে পায়াতার করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এব্যাপারে বাগলী ও বাঙ্গালভিটা গ্রামের বাসিন্দা নুর ইমলাম, ইউসুফ আলী, মহি উদ্দিন, রোমান মিয়া, রশিদ আলী, আলী নুরসহ আরো অনেকেই বলেন- রাস্তার নিচে পরিমান মতো বালি না দিয়ে নিন্মমানের ইট ব্যবহার করে অনিয়মের মধ্য নির্মাণ কাজ করার কারণে সীমান্ত এলাকার মানুষের স্বপ্নের এই সড়কটি ভেঙ্গে গিয়ে বর্তমানে দূভোর্গের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। ভারী যানবাহন চলার আগেই বাগলী- বাঙ্গালভিটা সড়কটি মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্যাকালে এই সড়ক দিয়ে যানবাহন নিয়ে চলা দূরের কথা পায়ে হেটে চলাই কঠিন হয়ে পড়েছে। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন- দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে যথাযত পক্রিয়ায় দরপত্র আহবান করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। বন্যার কারণে বাগলী-বাঙ্গালভিটা সড়কটি ক্ষতি হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ্য সড়কটি মেরামত করে দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্দু চৌধুরী বাবুল সাংবাদিকদের বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের জন্য দিনরাত কাজ করছেন। তাই উন্নয়ন কাজের অনিয়ম হলে তা মেনে নেওয়া হবেনা। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন